সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর এক দিনও অফিস করেননি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম। সেই সঙ্গে খোঁজ মেলেনি ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যানেরও। তবে কেন তারা অফিসে আসছেন না, তা জানাতে পারেননি দাপ্তরিক কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা।
রোববার (১৮ আগস্ট) সকালে সরেজমিন উপজেলা পরিষদে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা বন্ধ না থাকলেও দরজা রয়েছে বন্ধ। ভাইস চেয়ারম্যানের অফিস সহায়ক নিকাশ ভৌমিক জানান, আন্দোলনের পর থেকে ভাইস চেয়ারম্যানরা অফিসে আসেননি। তাই অফিসগুলো তালা খুলে দরজা লাগিয়ে রাখা হয়। তারা না এলে অফিসে তো বসার মতো কেউ থাকে না। চেয়ারম্যানের অফিস সহায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, চেয়ারম্যান অফিসে আসেননি। কেন আসেনি, তা আমার জানা নেই।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের গোপনীয় সহকারী (সিএ) নাইমা খাতুন জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর এক দিনও অফিসে আসেননি চেয়ারম্যান। তবে আমাদের কাজকর্ম সব ঠিকমতো চলছে। কোনো কাগজপত্রে স্যারের স্বাক্ষর লাগলে স্যারের বাসা থেকে করে নিয়ে আসতে হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া সুলতানা কেয়া জানান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয় অফিসে উপস্থিত নেই।