সিলেট মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের হোস্টেলে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এসময় ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানের রুম থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা ও একটি চাকুসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
শুক্রবার ( ২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে কলেজ হোস্টেলে এ অভিযান চালানো হয়।
শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, কলেজ কর্তৃপক্ষ দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে।
কলেজের হোস্টেলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী কর্তৃক তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজ হোস্টেলে তরুণীকে ধর্ষণ, ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নির্যাতিত ওই তরুণীর স্বামী মাইদুল ইসলাম বাদি হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখপূর্বক আরও ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে শাহপরাণ থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
শাহপরাণ থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর, শাহ রনি, অর্জুন, মাহফুজ, রবিউল ও তারেক। তারা সবাই সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নগরীর বালুচর এলাকায় এমসি কলেজ হোস্টেলে গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ধর্ষিত তরুণী তার স্বামীকে নিয়ে সিলেটের এমসি কলেজে ঘুরতে আসেন। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তরুণীর স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য কলেজ গেটের বাইরে বের হলে কয়েকজন যুবক তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যেতে চান।
এসময় তরুণীর স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধোর শুরু করে আহত করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এক পর্যায়ে তরুণী ও তার স্বামীকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এমসি কলেজের হোস্টেলে নিয়ে যান এবং গণধর্ষণ করে।