বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির, ৬ টি বিভাগের চারটিতেই পরিচালক পদ শূন্য। কেউ আবার পরিচালক পদে নিয়োগ পেলেও পদায়ন জটিলতায় যোগ দেননি। প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক বলছেন, পরিচালক শূন্য পদগুলোতে বারবার নিয়োগ দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলছেন নানা কারণে বিষয়টি সম্পন্ন হয়নি। এই পরিস্থিতিতে মহাপরিচালক ও একজন পরিচালক দিয়েই, শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে সংস্কৃতি চর্চার কাজ।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, রাষ্ট্রে সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম প্রধান প্রাণ কেন্দ্র। চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগ পরিচালক শূন্য। ১ এপ্রিল থেকে পরিচালক নেই নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগে। জানুয়ারির ১৭ তারিখ থেকে চারুকলা বিভাগেও নেই পরিচালক।
এদিকে, প্রযোজনা বিভাগে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসাবে কাজ করছেন প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক।
অন্যদিকে, চারুকলা বিভাগে পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন আশরাফুল আলম পপলু। দায়িত্বের মেয়াদ শেষে, পরিচালক পদে পুনঃ নিয়োগ দেয়া হয় তাকে। তবে নিয়োগ পত্রে উল্লেখ নেই বিভাগের নাম। তাই মহাপরিচালকের সিদ্ধান্তে তাকে পদায়ন করা হয় গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগে।
তবে এ বক্তব্য মানতে নারাজ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। পরিচালকের নিয়োগ না হওয়া সম্পর্কে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীরও একটি ব্যাখ্যা রয়েছে।
এদিকে, নিয়োগ বিধিমালার অস্পটতার কারণেও বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হচ্ছে বলে অভিমত অনেকের।