ঢাকা শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে ২২ দিন ক্লাস বন্ধ
  • নীলফামারী প্রতিনিধি:
  • ২০২৪-০৯-১৫ ০৭:১২:১৫

 নীলফামারী সদরের পঞ্চপুকুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান জুয়েলের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে তার অপসারণ দাবী করেছেন শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও এলাকাবাসী।  

এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস বরাবর গত ২৫আগষ্ট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা। 

অভিযোগ সুত্র জানায়, এসএসসি ফরম পূরণে অতিরিক্ত ৮০০ টাকা, প্রবেশ পত্র উত্তোলনে ৩’শ টাকা, প্রশংসা পত্র উত্তোলনে ৫’শ টাকা এবং মুল সার্টিফিকেট উত্তোলনের সময় ক্ষেত্র বিশেষে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করে থাকেন অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান। 

এছাড়াও সরকারী কয়েকটি বরাদ্দের দশ লাখ টাকা উত্তোলন করে নামমাত্র কাজ করে অর্থ আত্মসাৎ, শিক্ষার্থীদের সরকারী বরাদ্দের ভর্তুকি বাবদ গেল ২০বছরে প্রায় ২৫লাখ টাকা এবং জেএসসি পাশের প্রত্যয়ন পত্র বাবদ গেল ২০বছরে প্রায় ৫লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। 
নীলফামারী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদকে গভর্নিং বডির সভাপতি বানিয়ে নিজের ইচ্ছেমত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন তিনি। সভাপতির প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য করে প্রায় দেড় কোটি টাকা পকেটস্থ করার অভিযোগ করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আবু সাঈদ অভিযোগ করে বলেন, অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান জুয়েলের কারণে প্রতিষ্ঠানটি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। একক ক্ষমতা বলে প্রতিষ্ঠান পরিচালণা করছেন। প্রতিষ্ঠানে ঠিকমত আসেন না। ৬/৭দিন পর আসলেও এক থেকে দেড় ঘন্টা থেকে সই-স্বাক্ষর করে চলে যান। 

আমরা দুর্নীতিবাজ এই অধ্যক্ষের শাস্তি ও অপসারণ চাই। তিনি থাকলে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুন্ন হবে। পঞ্চপুকুর স্কুল এ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহমান বলেন, তিনি অবৈধ ভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন ১৯৯৫সালে। এনিয়ে তদন্তও হয়েছে। গভর্নিং বডিতে ৫/৬বার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিকে বিধি বর্হিভুত ভাবে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বানানো হয়েছে। উদ্দেশ্য ছিলো অনিয়ম ও দুর্নীতি করা। 

এদিকে অধ্যক্ষের অনিয়ম ও দুর্নীতির শাস্তি এবং তার অপসারণ চেয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-শিক্ষক-এলাকাবাসী আন্দোলন কর্মসুচিতে নেমেছেন। গেল ২৫আগষ্ট থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসুচি ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো। এরফলে ২২দিন থেকে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। 

প্রতিষ্ঠানের অচলাবস্থা নিরসনে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গভর্নিং বডির সভাপতিকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। 
জানতে চাইলে পঞ্চপুকুর স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান জুয়েল জানান, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোন সত্যতা নেই। উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে এসব করা হচ্ছে। ফরম পূরন, প্রত্যয়ন পত্র, নম্বর পত্র, মার্কশিট কিংবা সনদ পত্র শিক্ষার্থীদের আমি সরবরাহ করি না। অফিসের সংশ্লিষ্ঠ কর্মচারীরা এটা করে থাকেন। 

মূলত প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক আমার পদে আসতে চান তার ইন্ধনে এসব করা হচ্ছে। জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হক জানান, লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন আসলে বিধি অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদী বন্দর
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে  একজনের মৃত্যু
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে সকল সুবিধা দিত হাসিনা:  আলতাফ হোসেন চৌধুরী