নরসিংদী আঞ্চলিক সমবায় প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট উপ_নিবন্ধক অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি , চাঁদাবাজি ও ক্ষমতার অপব্যবহার দুদক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা যায়, সোনার বাংলা সমবায় কটন মিলসলিঃ-এর মালিকানাধীন মাধবদী সোনার বাংলা সমবায় মার্কেট একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। অভিযোগকারী ওমর ফারুক, রমিজ উদ্দিন, কালাম জানান মার্কেটের দোকান বরাদ্ধ নিয়ে ভাড়াটিয়া হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছি। সোনার বাংলা সমবায় কটন মিলস লিঃ-এর বর্তমানে ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন সরকার মনোনীত সদস্য মোঃ আশরাফুল ইসরাম , অধ্যক্ষ - আঞ্চলিক সমবায় প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট নরসিংদী , বিভিন্ন ভাবে ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি করে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। সে আমাদের নিকট হতে প্রত্যেক দোকান থেকে ৩,০০,০০০/- টাকা চাঁদা দাবী করে এবং উক্ত টাকা না দেওয়ায় আমাদের দোকান তালাবদ্ধ করে দেয়। আমরা বিষয়টি কমিটির সাথে বিভিন্ন ভাবে বিচার বৈঠক করে ব্যর্থ হইয়া নিরুপায় হয়ে ব্যবসা পরিচালনার স্বার্থে আমরা নগদে প্রত্যেক ব্যবসায়ী ৩,০০,০০০/- টাকা করে মোট ২,৫০,০০,০০০/- টাকা উক্ত আশরাফুল ইসলামকে প্রদান করিলে তালা খুলে দেয়।
সে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এমপি'র একজন পাদুকা টানা লোক হিসেবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন দুর্নীতি ও হুমকি ধামকি প্রদান করায় তৎকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে সমবায় বিভাগে অভিযোগ করতে পারিনি। এছাড়াও মার্কেটের গলি মেরামত সহ বিভিন্ন ভূয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে সমিতির তহবিল হইতে কোটি কোটি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন , যাহা প্রকৃত তদন্তের মাধ্যমে বেড়িয়ে আসবে। তাছাড়া ২০১৬-২০১৭ সালে আশরাফুল ইসলাম জেলা সমবায় অফিসার নরসিংদী থাকাকালীন সময়ে নরসিংদী সদর আসনের এমপি'র সহায়তায় সোনার বাংলা সমিতির পক্ষে মামলা পরিচালনার কথা বলে মার্কেটের প্রায় ৮১৫টি দোকান মালিকদের নিকট থেকে গড়ে ১৫,০০০/৩০,০০০ টাকা করে ১,২০,০০,০০০/- টাকা চাঁদা আদায় করে আত্মসাৎ করে। এ বিষয়ে স্থানীয় এমপি'র দাপট ও ক্ষমাতার চরম অপব্যবহার করে মুখ খুললে ব্যবসায়ীদের দোকান ছাড়া করা হবে বলে হুমকি দেয়। তিনি একজন সরকারী কর্মকর্তা হয়েও রাজনৈতিক নেতার মত আচরণ করেন যার কারণে নরসিংদী সমবায়ীরা অতিষ্ট। উপরোক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে উক্ত আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরেজমিনে তদন্ত করে বিগত দ্বৈরস্বাশকের দোসর এ কর্মকর্তার চরম শাস্তির ব্যবস্থা করে বৈষম্যহীন সমবায় আঙ্গন প্রতিষ্ঠা করার একটি চাঁদাবাজির প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপ দিয়েছে আমরা তার বিচার চাই । ভুক্তভোগীরা দুদক বরাবর অভিযোগ দিয়েছে।