ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানের সময়ই নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দিয়ে মাছের আড়ৎতে যাওয়ার সময় গুলিতে নিহত মাছ ব্যবসায়ী মিলন মিয়ার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন নারায়নগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বরে) সকালে নিহত মিলনের গ্রামের বাড়ি দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ভাটারা মদন হাওলাদার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: শাহীন মাহমুদউল্লাহর এর নেতৃত্বে এবং থানা (ওসি তদন্ত) মো: শফিকুর রহমানের, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা মীর শহীদুল ইসলাম শাহীনের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে পটুয়াখালী মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
জানা যায়, গত (১৮ আগস্ট) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, শামীম ওসমান সহ ৬২ জন নেতাকমীর নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করে নিহত মিলনের স্ত্রী শাহানাজ।
মামলা সূত্র জানা যায়,গত ২১জুলাই গণঅভ্যুথানে শিমরাইল এলাকায়। ঢাকা-চট্টগ্রম মহাসড়ূকে দিয়ে মাছের আড়ৎত যাচ্ছিলেন মাছ ব্যবসায়ী মিলন মিয়া। এসময় ১ থেকে ৩ নং আসামীর নির্দেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ছাত্র-জনতার উপর হামলা চালিয়ে গুলিবর্ষণ করে। এতে মিলনের বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে সাইনবোর্ডে এলাকায় প্রো-এ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘােষনা করেন। দায়েরকৃত মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলো- সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান,ভাতিজা আজমেরী ওসমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খােকন সাহা, নাসিক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, শাহজালাল বাদল, নুর উদ্দিন মিয়া, রুহুল আমিন, ইফতেখার আলম খোকনসহ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হােসেন সাজনু, আওয়ামী লীগ নেতা জাকিরুল আলম হেলাল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়াসহ ৬২ জনের নাম মামলায় উল্লেখ করা হয়।
নিহত মিলন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন ঝাটারা গ্রামের মো: হোসেন হাওলাদারের ছেলে। দুমকি থানা ওসি তদন্ত মো: শফিকুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী লাশ উত্তোলন করে পটুয়াখালী মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।