ঢাকা শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
মাদ্রাসা শিক্ষককে জোরপূর্বক পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করানোর অভিযোগ
  • শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
  • ২০২৪-০৯-১১ ০৬:৫২:৪০

শরীয়তপুর সদর উপজেলার এক মাদ্রাসার শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে জোরপূর্বক পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপরে ভুক্তভোগী শিক্ষক তহিরুন নেছা তাকে শরীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে জোরপূর্বক পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর নেয়া প্রসঙ্গে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও তিনি পালং মডেল থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেছেন। 

লিখিত অভিযোগে তহিরুন নেছা উল্লেখ করেন, আমি তহিরুন নেছা (ইনডেক্স নং- D2027877) গত ১৯/০৪/২০০৩ ইং তারিখে শরীয়তপুর ইসলামিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় সহ-সুপার পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে অদ্যাবধি সুনামের সহিত চাকরি করে আসছি। ০১/০৯/২০২৪ ইং তারিখ যথারীতি মাদ্রায় যেয়ে ১০ম শ্রেণীর ক্লাস নিচ্ছিলাম। ক্লাস চলাকালীন সময় অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ, মাহবুববুর রহমান, নারগিস আক্তার এবং বহিরগত জনৈক ইলিয়াস মাকসুদ (পিতা-আব্দুল মান্নান শিকদার) শ্রেণী কক্ষে প্রবেশ করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ আমার গায়ে হাত তোলে। উপস্থিত সবাই আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তা করে আগে থেকেই লিখিত/টাইপকৃত তারিখ বিহীন 'পদত্যাগ পত্র' শিরোনামে একটি কাগজে জোরপূর্বক আমাকে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় এবং স্বাক্ষের নিচে তারিখ না লিখতে বাধ্য করে।

উল্লেখ্য, উক্ত কথিত পদত্যাগ পত্রে আমি স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর করিনি। আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তা করে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়েছে। আমি চাকরি করতে ইচ্ছুক। আমি একজন স্বামীহারা অসহায় নারী। আমার কোনো পুত্র সন্তান নাই। আমার উপার্জিত টাকায়ই আমার ভোরন-পোষন হয়। এই চাকরিই আমার একমাত্র সম্বল।

আমি শরীয়তপুর ইসলামিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় যাতে চাকরি করতে পারি তাহার সুব্যবস্থা করতে এবং আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনাকারীদের আইনের আওতায় আনতে মহোদয়ের সদয় মর্জি হয়।

এছাড়াও তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে উক্ত ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার চেয়েছেন। এব্যাপারে অভিযুক্তদের বক্তব্যের জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদী বন্দর
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে  একজনের মৃত্যু
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে সকল সুবিধা দিত হাসিনা:  আলতাফ হোসেন চৌধুরী