ঢাকা শনিবার, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
আজ শেখ হাসিনার কারামুক্তির দিন
  • নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • ২০২০-০৬-১১ ২১:৪৫:৫৯

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তির দিন আজ। ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের আজকের দিনে মুক্ত হন বঙ্গবন্ধুকন্যা। মুক্তি পেয়েই সাংগঠনিক কাজে মনোনিবেশ করেন তিনি। দলকে ক্রমাগত শক্তিশালী করে ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করেন শেখ হাসিনা।

ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা দিয়ে এক তরফা নবম জাতীয় নির্বাচন করার পায়তারা করে তৎকালিন বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার। ওই সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান নিয়োগ ইস্যুতে দেশ জুড়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে আওয়ামী লীগ।

এক পর্যায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব নেন জোট সরকারের রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমদ। শুরুতে শেখ হাসিনা তা মেনে নেন। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় বিএনপির কথার বাইরে রাস্ট্রপতি ও প্রধান উপদেস্টা ইয়াজউদ্দিন আহমদ কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। এর প্রতিবাদে ৪ জন উপদেস্টা পদত্যাগও করেন। দেশের পরিস্থিতি আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠে।

এরকমই প্রেক্ষাপটে সশস্ত্রবাহিনীর হস্তক্ষেপে প্রধান উপদেস্টার পদ থেকে সরে দাড়ান ইয়াজউদ্দিন আহমদ। জারী হয় জরুরী অবস্থা। নিষিদ্ধ হয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান নিযুক্ত হন ফখরুদ্দিন আহমদ। কার্যত ক্ষমতা চলে যায় সশস্ত্রবাহিনীর হাতে।

এই পরিস্থিতিতে রাজনীতি থেকে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে সরে দাড়ানোর চাপ আসতে থাকে। এতে নাগরিক সমাজের কেউ কেউও সায় দেন। রাজনীতিবিদদের নামে একের পর এক দূর্নীতির মামলা দায়ের হয়। শুরু হয় গ্রেপ্তার অভিযান।  

 ২০০৭ সালের ১৬ই জুলাই আটক করা হয় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে। জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় বিশেষ কারাগারে রাখা হয় তাকে।  সেখানে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন।

এক পর্যায় শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে আওয়ামী লীগ।  

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে আওয়ামী লীগ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, শেখ হাসিনাকে কারাগারে রেখে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। ক্রমাগত চাপের মুখে  চিকিৎসার নামে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে ২০০৮ সালের ১১ই জুন প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়।

কারাগার থেকে মুক্ত হয়েই নির্বাচনমুখী হন শেখ হাসিনা। ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠাতা পায়।

সরকার গঠন করেই ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হত্যাকারিদের বিচারের রায় বাস্তবায়ন করেন। শেষ করেন একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচারকাজ। পদ্মাসেতুসহ একের পর এক মেগা প্রকল্প হাতে নিয়ে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে তাক লাগিয়ে দেন শেখ হাসিনা।

৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট পরিবারের সবাইকে হারিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার পথচলা কখনোই মসৃণ ও সহজ ছিলো না।  মৌলবাদী শক্তি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে টিকে থাকতে হচ্ছে শেখ হাসিনাকে।  বার বার হত্যা চেষ্টার নীল নকশা থেকে বেঁচে গিয়ে দেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের প্রশ্নে ধ্বংসস্তুপের উপর আলোর দিশারি হয়ে নিজেকে অন্যন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

প্রথমবারের মতো এফডিসিতে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা
গণপিটুনিকে নরমালাইজ করা হচ্ছে কেন : মেহজাবীন
রাফী-তমা মির্জার প্রেমটা তাহলে আর নেই!