দিনাজপুরে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে তাবলীগ জামাতের ইজতেমা। আখেরি মোনাজাতে ছিল সর্বস্তরের মানুষের ঢল। আমিন আমিন ধ্বনিতে ভূকম্পিত হচ্ছিল দিনাজপুরের গোড় এ শহীদ বড় ময়দান।
আজ শনিবার ১১: ৫০ থেকে ১১: ৫৭ মিনিট পর্যন্ত আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইলের মুরব্বি ও তাবলীগ জামাতের জিম্মাদার (দায়িত্বশীল) মোঃ ওয়াসিকুল ইসলাম। মাত্র ৭ মিনিটের মোনাজাতে বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের সকল মুসলমানের শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা কামনা করা হয়।
শনিবার সকাল থেকে দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড়ময়দানে (বড়মাঠ) ইজতেমা মাঠে সমবেত হন লক্ষাধিক মানুষ। বেলা সাড়ে ১০টার মধ্যে ইজতেমা মাঠ ও আশপাশের এলাকা লোকে লোকারন্য হয়ে উঠে। ইজতেমা মাঠ পরিণত হয় বিশাল জনসমুদ্রে। মোনাজাতে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেছে বলে ইজতেমার আয়োজক ও সাধারণ মুসল্লিবৃন্দ দাবী করেছেন।
শহরের অধিকাংশ দোকানী দোকানপাট বন্ধ করে মুনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। মুনাজাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সরকারী-বেসরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মুনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া দিনাজপুর সদর, বিরল, চিরিরবন্দর, বীরগঞ্জ উপজেলাসহ আশপাশের অন্যান্য উপজেলা হতে আগত নারী, পুরষ ও শিশুসহ সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মানুষ মুনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
শনিবার ইজতেমার শেষ দিন বাদ ফজর বয়ান করেন ঢাকার কাকরাইলের মুরিব্ব হাফেজ ওয়াজিবুল্লাহ। এর পর সকাল সাড়ে ৯টা হতে মুনাজাতের আগ পর্যন্ত বয়ান করেন মোঃ হারুনুর রশিদ ও শিহাব উদ্দীন। এর পর মুনাজাত করা হয়। মুনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইলের মুরব্বি মোঃ ওয়াসিকুল ইসলাম। মুনাজাতের আগে সংক্ষিপ্ত এদিকে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ইজতেমা মাঠের চার পাশে মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোষাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ গোয়েন্দা বিভাগের সদস্য মোতায়েন ছিল।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ সালের ৩১ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথমবারের মত, ২০২২ সালের ৩১ মার্চ হতে ২ এপ্রিল পর্যন্ত দ্বিতীয়বারের মত এবং ২০২৩ সালের ২ মার্চ হতে ৪ মার্চ দিনাজপুরে ৩ দিনব্যাপী তাবলীগ জামাতের জেলা ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।