গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার উত্তর হিজলতলী এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে মল্লিকা আক্তার নামে এক নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন তার স্বামী। ঘটনার পর থেকে স্বামী সুজন মিয়া পলাতক রয়েছেন।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন বলেন, নিহত মল্লিকা আক্তার (২৬) উপজেলার ফুলবাড়িয়া বাঘেরবের গ্রামের আজমত আলীর মেয়ে। তিনি ও তার স্বামী সুজন মিয়া উত্তর হিজলতলী এলাকায় বসবাস করতেন। মল্লিকা ছিলেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক, আর সুজন মিয়া পেশায় অটোরিকশাচালক।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে সুজন মিয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরেন। পরে মল্লিকার সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সুজন মিয়া ঘরে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে মল্লিকার পেটে আঘাত করেন।
উপপরিদর্শক আরও বলেন, মল্লিকাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঘরে ফেলে রেখে পালিয়ে যান সুজন। রাতে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।