দিনাজপুর বীরগঞ্জের পল্লী চিকিৎসক এর ভুল চিকিৎসায় মিম (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের আয়মার ডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া স্কুলছাত্রী মিম (১৩) পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণভিটা এলাকার মানিক হোসেনের মেয়ে। ব্রাহ্মভিটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
স্থানীয়রা জানান, মিম কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড জ্বরে ভুগছিলেন। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে একই এলাকার ডলারের মোড় পল্লী চিকিৎসক খাজা নাজিমুদ্দিন ওরফে খাজা ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় পার্শ্ববর্তী পাড়ার মানিকের কন্যা ৮ম শ্রেণির ছাত্রী মিম মৃত্যুবরণ করে।
এই নিয়ে এলাকায় ব্যপক গুঞ্জন ও কানাঘুষা চলছে।
স্থানীয়রা সবাই বলছেন ডাক্তার খুব দক্ষ, সুনামধন্য এবং অনেক পুরানো, জনপ্রিয়, তার কোন দোষ নেই, হায়াত শেষ হয়েছে তাই মেয়েটি মারা গেছে।
সমগ্র এলাকায় শোকের মাতম চললেও পরিবারের পক্ষে কোন প্রকার আপত্তি বা কাউকে দায়ী করা হচ্ছে না, তবে তারা রাগান্বিত স্বরে বলেন, কতিপয় দুষ্টু প্রকৃতির মানুষ, স্বাভাবিক ঘটনাকে অস্বাভাবিক বানানোর চেষ্টা করছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক খাজা নাজিমুদ্দিন জানান, স্কুলছাত্রী কয়েকদিন থেকে প্রচন্ড জ্বরে ভুগছিল, তাই বিকেলে তাকে কোন প্রকার পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই ট্রাইজন ওয়ান গ্রাম ইনজেকশন দেয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই অবস্থার মারাত্মক অবনতি হতে থাকে।
ইনজেকশন খুলে দিয়ে তাড়াতাড়ি উত্তর গড়েয়া অথবা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলি, সে মতে তারা হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতেই পথিমধ্যে রোগি মারা যায়।
এমন পরিস্থিতিতে আমি নিজেও ভেঙ্গে পড়েছি, ভীষন অস্বস্তি বোধ করছি।
প্রথমে তিনি বলে কোন ইনজেকশন পুশ করিনি শুধু ঔষধ দিয়েছেন কিন্তু পরে নিজেই স্বীকার করেন ইনজেকশন দিয়েছি।
পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ মনির উদ্দিন জানান, ভুল চিকিৎসায় স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের অবগত করেছি।
এবিষয়ে বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান জানান, মৃতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়নি।