ভোলা পৌরসভার উদ্যোগে মাসব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হযেছে। "পরিচ্ছন্নতা শুরু হউক নিজের থেকে" এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ভোলা পৌরসভায় মাসব্যাপী পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান কর্মসূচী শুরু করা হয়েছে। শনিবার ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন করেন, ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের সহযোগিতায় ভোলা পৌরসভা এ কার্যক্রমের আয়োজন করে।
মাসব্যাপী কার্যক্রমের পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচীর অংশ হিসাবে শহরের কোর্ট জামে মসজিদের পুকুরের কচুরিপানা পরিস্কার করা হয়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে আগামী এক মাসের মধ্যে গোটা পৌর এলাকাকে ময়লা আবর্জনা মুক্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
এসময় পৌরসভার নবনিযুক্ত প্রশাসক স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ কায়সার খসরুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মঞ্জুর হোসেন, ভোলা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আবুল হাছনাত, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো: রাইসুল আলম, ভোলা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জসিম উদ্দিন আরজু, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির জেলা প্রতিনিধি এডভোকেট নজরুল হক অনুসহ জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী একদফা ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর থেকে বিভিন্নভাবে অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে ভোলা পৌর শহর। পরে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে শহরের কোর্ট মসজিদের পুকুরসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এসময় ভোলা জেলা প্রশাসক মো.আরিফুজ্জামান বলেন, মাসব্যাপী এ পরিছন্নতা অভিযান কার্যক্রমকে আমি স্বাগত জানাই।
নতুন বাংলাদেশ একটি পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ হবে এটা আমাদের সকলের প্রত্যাশা। এ কার্যক্রম জেলার অন্যান্য উপজেলা ও পৌরসভায় বেগবান হওয়া দরকার। তাহলে আমরা এ ভোলা জেলাকে একটি পরিচ্ছন্ন জেলা হিসেবে দাবি করতে পারব। তিনি আরো বলেন, ভোলা একটি পর্যটন নির্ভর জেলা। এখানে যদি আমরা একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ দিতে পারি, তাহলে এখানে পর্যটকরা আসবেন। যেহেতু এখন বর্ষা মৌসুম, এ সময় বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে। তাই আমরা যদি ভোলাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পারি, তাহলে ভোলার মানুষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে যেসকল রোগ হয় সেটা থেকে অনেক অংশেই মুক্ত থাকতে পারবে।