কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ঈদ্রীস আলী ক্ষমতাসীন দলের দাপটে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। নাগেশ্বরী উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা ইদ্রীস আলী দীর্ঘ ২৬ বৎসর ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে লুটিয়ে নিয়েছেন কয়েক লক্ষাধিক টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় বুডিরডারা খামার হাসনাবাদ ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় পুকুর সংস্কারের জন্য কাবিটা বাজেট আসে ৪লক্ষ ৫০হাজার টাকা। এ বাজেট ইদ্রীস আলী নিজের সুবিধামতো উত্তোলন করে নাম মাত্র পুঁকুরের ঘাস ছিলিয়ে হাতিযে নেন সে টাকা। নাম প্রকশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানায় শুধুমাত্র পুকুর সংস্কারের নামে পুকুরের ঘাস ছিলে দিয়েছেন ইদ্রিস আলী এছাড়া অত্র ইউনিয়নের বিধবা, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ভাতা ও ভিজিডি ভাতার নামে হাতিয়ে নিয়েছেন হাজার হাজার টাকা খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে তিনি দীর্ঘ ২৬বছর ধরে আছেন। এমনকি এই সভাপতি ক্ষমতা দাপটে নিজের নামে খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির স্বত্বাধিকারী নিয়েছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির আওতায় টাকার বিনিময়ে চাল দেয়ার সময় মানুষকে নিম্নমানের পঁচা ও দুগন্ধযুক্ত চাউল এবং পরিমাপে কম দিতেন। অন্যদিকে ক্ষমতার দাপট ও অর্থের বিনিময়ে নিজের ছেলে একরামুল হক কে বানিয়েছেন হাসনাবাদ ইউনিয়নের মুসলিম বিবাহ ও নিকাহ রেজিস্ট্রার।
সচেতন এলাকাবাসী ও ইউনিয়নবাসীর দাবি সামনের দিনে যাতে আমরা খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির আওতায় ভালো মানের চাল চাই। এছাড়া এই ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ইদ্রীস আলীর সকল দুনীতির তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত বিচার দাবি করছি।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।