ঢাকা মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
‘অধ্যক্ষ’থেকে পদত্যাগ আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
  • ২০২৪-০৮-২৮ ০৯:০৩:২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজলের স্ত্রী তানিয়া আক্তার। সংস্কারের প্রয়োজনে অন্য মেয়রদের মতো তাকজিল খলিফা অপসারিত হন। তবে ১১জনকে ডিঙিয়ে লাইব্রেরিয়ান থেকে প্রিন্সিপাল বনে যাওয়া তানিয়া ছিলেন বহাল তবিয়তে।   

মজার বিষয় হলো, গ্রেপ্তার হওয়া সদ্য সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের স্বাক্ষরে তানিয়া আক্তার লাইব্রেরিয়ান হয়েও প্রিন্সিপাল হয়েছিলেন। আনিসুল হক ওই কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি। তানিয়া আক্তারের স্বামী তাকজিল খলিফা হলেন সাবেক আইনমন্ত্রীর খুবই ঘনিষ্টজন। পাশাপাশি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নিজের নামও লিখিয়েছেন তিনি। জাহানারা হক হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মায়ের নাম। 
৫ আগস্ট দুপুর থেকে তাকজিল খলিফা কাজল পলাতক রয়েছেন। বেশ কয়েকবছর ধরে বসবাস করা আখাউড়ার রাধানগর থেকে সরে গিয়ে নিজের পুরোনো গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার কোড্ডায় অবস্থান করছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তানিয়া আক্তারকেও ঘটনার পর থেকে আখাউড়ায় দেখা যায়নি। ৫ আগস্ট তাদের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

অবশ্য ৫ আগস্ট পরবর্তী সময় থেকে তানিয়া আক্তার আখাউড়ার জাহানারা হক মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল হিসেবে কাগজে কলমে কর্মরত ছিলেন। অবশ্য তিনি কলেজে আসেননি। তবে শেষ পর্যন্ত সমালোচনার মুখে অসুস্থতার কথা বলে তিনি চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেনু। ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার এ তাঁর অব্যাহতি সংক্রান্ত একটি কাগজ কলেজে পাঠানো হয় বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রæয়ারি, জাহানারা হক মহিলা কলেজের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহা. শাহাজাহান মিয়া মারা যান। এরপর কলেজ পরিচালনা কমিটি কমিটি জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে কোনো প্রভাষককে অধ্যক্ষের দায়িত্ব না দিয়ে লাইব্রেরিয়ান তানিয়া আক্তারকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হয়। কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীর নামের তালিকার বোর্ডে তার অবস্থান ১৩। এরপরই রয়েছে অফিস সহকারির নাম। 

সূত্র জানায়, লাইব্রেরিয়ান হিসেবে তানিয়া আক্তার নয় হাজার টাকা বেতন নিতেন। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরুর পর তাকে ১৫ হাজার টাকা বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একবার দেশের বাইরে যাওয়ার সময় তানিয়া আক্তারকে ভারপ্রাপ্ত দেওয়ার যে রেজুলেশন করা হয় সেটির উপর ভিত্তি করেই দায়িত্ব পালন করতে থাকেন।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ নিয়ে প্রভাষকদের মাঝে অসন্তোষ থাকলেও এতদিন তাদের কেউ মুখ খুলতে পারেননি। ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অনেকে নড়েচড়ে বসেছেন। তারা যে বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন সেটি থেকে বের হওয়ারও আশায় ছিলেন তারা।

এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজাল পারভীন রুহি বুধবার দুপুরে জানান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষেল পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে হাতে না আসা পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না। 

পুলিশের অসাদাচরনের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
 শিশু রুকাইয়া রহমান আনহাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন
নীলফামারীর চিলাহাটিতে পেকিন হাঁস  পালন বিষয়ক খামার দিবস অনুষ্ঠিত