জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাপ পরওয়ার বলেন,“এ রক্ত ঝরা ইতিহাস জাতির জন্য যুগযুগ ধরে মাইল ফলক হিসেবে থাকবে। জাতি এটা দিয়ে শিক্ষা নিবে শেখ হাসিনা কিভাবে হায়েনার মতো মানুষের উপর নির্যাতন, নিষ্পেশন, শোষন চালিয়েছিল। গুম, খুন, অপহরণ, আয়নাঘরের মাধ্যমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছিলো হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে। সেই গণ অভিশাপে এবং আন্দোলনের মুখে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।” বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান ও ছাত্র-জনতা ঐক্যসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ঝালকাঠি জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট মুয়াজজম হোসেন হেলাল, পিরোজপুর সাঈদী ফাঊন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামীম সাঈদি।
তিনি আরো বলেন,“দেশের ক্রান্তিলগ্নে ছাত্ররাই তাজা রক্ত দিয়ে দ্বিতীয়বারে দেশ স্বাধীন করেছে। আমরা ওই সব শহীদ পরিবারের পাশে আছি। যারা সন্তান হারিয়েছে, স্বামী হারিয়েছে, ভাই হারিয়েছে তাঁরা হাহাকার না করে মৃত্যু অনিবার্য সেটা মানতে হবে। বুকের কষ্টকে পাথর চাপা দিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। যাতে শহীদদেরকে আল্লাহ জান্নাতের উচ্চমাকাম দান করেন। আপনারা (অভিভাবক) সৌভাগ্যবান, আপনার সন্তানরা শাহাদাত বরণ করেছেন। আপনিও গর্বিত শহীদ পরিবারের সদস্য।”
জেলা জামায়াতের আমীর এডভোকেট হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সেক্রেটারী অধ্যক্ষ ফরিদুল হক'র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, শহীদ নাইমের পিতা মো. কামরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট শাহাদাত হোসেন, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাবেক নেতা ও বরিশাল বিএম কলেজের সাবেক এজিএস শেখ নেয়ামুল করীম, কাঠালিয়া উপজেলা আমীর মাস্টার মজিবুর রহমান, সদর উপজেলা আমীর মাওলানা মনিরুজ্জামান তালুকদার, পৌর সেক্রেটারী শাহাবুদ্দিন খলিফা, কাঠালিয়া উপজেলা সেক্রেটারী মাওলানা নজরুল ইসলাম। এসময় ৮জন শহীদ পরিবারের মাঝে ১১লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়