দিনাজপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রবিউল ইসলাম রাহুল (১৭) কে হত্যা মামলায় সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম সহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ আরোও অজ্ঞাত ৩০০/৪০০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
আজ সোমবার দুপুরে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ হোসেন মামলা দায়েরের সংবাদটি নিশ্চিত করেন। মামলার বাদি নিহতের বড় ভাই ফরিদুল ইসলাম।
গত ৪ আগস্ট দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের সম্মুখ সড়কে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপ্রিয় মিছিলের উপর সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের নির্দেশনায় জেলা যুব লীগের সভাপতি রাশেদ পারভেজ (৫০) যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন (৫০), শাহ আলম (৪৯), আশরাফুল আলম রমজান (৫২) মানিক রঞ্জন বসাক (৪৫) মিঠুন (৪০), সুইট (৩০) ওবায়দুর রহমান (৪৮) অভিজিৎ বসাক (৪৫) আলতাফুজ্জামান মিতা( ৬২) হারুনুর রশিদ রায়হান (৩৫) ওয়াসিম নূর তুষার( ২৫) মোমিনুল ইসলাম (৫৫) এমদাদ সরকার( ৬৫) রানা( ৫৫) মিথুন (৩২) নুর মোহাম্মদ (৫০) জাকির হোসেন (২৫) সাদিকুল ইসলাম (৪৫) রাশেদুল ইসলাম (৩৫) মোঃ রুবেল( ৪৫) মাসুদ আলম (৫০) রথীন্দ্রনাথ বসাক ছুটু (৪৫) শামিম রেজা( ৪৫) আব্দুল মালেক সরকার( ৪২) মোঃ রফিকুল ইসলাম (৫২) ইউসুফ আলী তালুকদার (৫৫) উত্তম বসাক (৫২) মামুনুর রশিদ( ৪০) অমিত বসাক ভোলা (৩০)
আসামিরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরদের উপর আগ্নেয়াস্ত্র, ক্ষতিকারক গ্যাস হত্যার উদ্দেশ্যে দেশী-বিদেশি অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীর উপর অতর্কিত গুলিবর্ষণ করে । এক পর্যায়ে রবিউল ইসলাম রাহুল গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আন্দোলনরত কয়েকজন ছাত্র তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৯ আগস্ট দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আর রবিউল ইসলাম রাহুল মৃত্যুবরণ করেন।