ঢাকা শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
  • কালিয়াকৈর (গাজীপুর)প্রতিনিধি:
  • ২০২৪-০৮-২৩ ০৯:৪০:০৭
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় শুক্রবার সকালে আবারো একদিন বিরতি দিয়ে ফের মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নেমেছে পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা।বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তারা মহাসড়ক অবস্থান নেয়। এ সময় যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। জানা যায়, গাজীপুরের চন্দ্রায় অবস্থিত শিল্প কারখানা মাহমুদ জিন্স এর কয়েক হাজার শ্রমিক ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় অবস্থান নেয়। উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকা গামী এবং ঢাকা ও গাজীপুর হতে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার এক মাত্র রাস্তাটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় উভয় পাশে শত শত যানবাহনের লম্বা লাইন লক্ষ্য করা যায়।উভয় পাশে প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার জ্যাম জটের সৃষ্টি হয়।এতে করে ঢাকা হতে উত্তরবঙ্গের এ মহাসড়ক টি অচল হয়ে পড়ে। সকালে থেকে আন্দোলন রত পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়,মাহমুদ জিন্স পোশাক কারখানার মালিক পক্ষ গত ছয় মাসে তিন বার বকেয়া বেতন পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েও মালিকপক্ষ বেতন প্রদান করেননি। চলতি মাসের ১০ তারিখেও বকেয়া বেতন পরিশোধের কথা থাকলেও পরিশোধ না করে তালবাহানা করছেন এবং চলতি মাসে এ নিয়ে তিনবার আন্দোলন কটেন শ্রমিকরা।গত ২১ আগস্ট শ্রমিকরা আন্দোলনে নামেন তখন সেনাবাহিনী এসে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সাথে কথা বলে গত ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার বকেয়া বেতন পরিশোধ করবেন বলে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেন। বৃহস্পতিবার বেতন পরিশোধ না করায় শুকবার ফের আন্দোলনে নামেন শ্রমিকরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শ্রমিক জানান, মালিকপক্ষ যখন তখন যাকে তাকে কারখানা থেকে ছাঁটাই করেন।শ্রমিকরা আরো বলেন,গত ২২ আগস্ট রাতে নাইট শিফটে কর্মরত সকল শ্রমিকদের রাত দশটার দিকে ছুটি দিয়ে গোপনে মালিকপক্ষ কারখানার ভিতরের মালামাল সরিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করেন, শ্রমিকগণ টের পেয়ে মালামাল সরিয়ে নিতে বাধা দেন। শুক্রবার আন্দোলন চলাকালীন অবস্থায় দুপুর বারোটার দিকে খবর আসে কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে,এ সংবাদ শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকগণ আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন।
শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদী বন্দর
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে  একজনের মৃত্যু
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে সকল সুবিধা দিত হাসিনা:  আলতাফ হোসেন চৌধুরী