স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার লক্ষ্যে এবং স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্য ও নিপীড়ন বিরোধী হাবিপ্রবি পরিবার।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় অবস্থান কর্মসূচি শুরুর আগে একটি র্যালি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে শেষ হয়। উক্ত র্যালিতে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। র্যালি শেষে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।
এ সময় কর্মচারীগণের মধ্যে হতে বক্তব্য প্রদান করেন আব্দুল হাকিম লেবু ও আব্দুল ওয়াদুদ, কর্মকর্তাগণের মধ্যে হতে বক্তব্য প্রদান করেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ খাদেমুল ইসলাম ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ সাখাওয়াতুল কবীর চৌধুরী, শিক্ষকগণের মধ্যে হতে বক্তব্য প্রদান করেন উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. শরীফ মাহমুদ,ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির, ফসল শারীরতত্ত্ব ও পরিবেশ বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আবু হাসান, কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজ এবং ফসল শারীরতত্ত্ব ও পরিবেশ বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ মনিরুজ্জামান বাহাদুর। সঞ্চালনা করেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর মোঃ কুতুব উদ্দীন।
এ সময় বক্তারা বলেন, শত শত শিক্ষার্থী-জনতার জীবনের বিনিময়ে দীর্ঘদিনের বৈষম্যের শিকল ভেঙ্গে আমরা আজকের এই স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার দোসর তথা ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও থেমে নেই। তাই আমাদের বসে থাকলে চলবে না, শহীদদের রক্তের বিনিময়ে প্রাপ্ত এই স্বাধীনতা আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। যার হুকুমে অকালে এতো প্রাণ ঝরে গেলো সেই স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতে করতে হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা আর কোন বৈষম্য চাই না এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সমস্ত ব্যক্তিবর্গ অন্যায় ও দুর্নীতিতে জড়িত ছিল তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য আমরা দাবি জানাই। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। তারা আরও বলেন, হাবিপ্রবিতে বর্তমানে কোন প্রশাসন নেই। তাই দ্রুত একজন দক্ষ ভিসি নিয়োগের জন্য আমরা সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাই। অবস্থান কর্মসূচি শেষে সাম্প্রতিক আন্দোলনে নিহত সকল শহীদ ও আহতদের জন্য দোয়া এবং মোনাজাত করা হয়।