নীলফামারীর উত্তর চওড়া বড়গাছা স্কুল এ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ধীমান রায়ের পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। পরে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার দুপুরে নীলফামারী সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন কলেজ এলাকায় এই কর্মসুচির আয়োজন করা হয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে।
প্রতিষ্ঠানটির সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ছাত্র আলী আকবর হাসমি, ব্যবসায়ী সোহাগ ইসলাম ও রোকন ইসলাম, অভিভাবক মোস্তাফিজুর রহমান ও গোলাম সারওয়ার ভুট্টু, শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মারুফ, মিফতাহুল আলম মাফি, সজল রায়, এমি আকতার, পায়েল রায় এবং আসিফ হাসান।
সমাবেশে অভিযোগ করা হয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠানটি দলীয় করণ করা হয়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের হয়রানী ও ভয়ভীতি প্রদর্শণ করা হয়, বিভিন্ন ভাবে অতিরিক্ত ফি আদায়, উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছে চাঁদা আদায়সহ অনলাইনে তথ্য হালনাগাদের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, প্রতিষ্ঠানে সরকারী অর্থে মাটি ভরাটের নামে টাকা আত্মসাৎ করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ধীমান রায়।
প্রতিষ্ঠানটির প্রভাষক পিনাকী রায় বলেন, অর্থের বিনিময়ে সিনিয়র শিক্ষক বাদে জুনিয়রের পদোন্নতি দিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়েছেন এমনকি এ্যাডহক কমিটি গঠন করে তিন বছর ধরে অবৈধ ভাবে দায়িত্বে পালন করছেন তিনি।
অভিভাবক গোলাম সারওয়ার ভুট্টু অভিযোগ করে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি কুক্ষিগত করে রেখেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ধীমান রায়। তিনি নিজের ইচ্ছেমত প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন। তাকে সরানো না হলে প্রতিষ্ঠানটি দারুন ভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে।
কর্মসুচি শেষে ধীমান রায় ভারপ্রাপ্ত অধক্ষ্যের পদ থেকে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা।
জানতে চাইলে উত্তর চওড়া বড়গাছা স্কুল এ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ধীমান রায় জানান, আমি কোন অন্যায় করিনি। যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে এসব ভিত্তিহীন। চাকুরী গেলে যাবে।
এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট অক্ষ্ময় কুমার রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত গেয় কয়েক দিন থেকে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবীতে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।