ঢাকা শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
কর্মবিরতি শেষে ভোলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে ১০ থানার কার্যক্রম শুরু
  • মোঃ জহিরুল হক, ভোলা
  • ২০২৪-০৮-১২ ০৮:৪২:৪৩
সারা দেশের ন্যায় গত কয়েকদিন ধরে চলা কর্মবিরতি শেষে আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজে ফিরেছে ভোলা জেলা পুলিশ। শুরু হয়েছে থানার সকল স্বাভাবিক কার্যক্রম। ভোলার জেলার সকল থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে সকল প্রকার আইনি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অন্যান্য দিনের মতো সাধারণ ডায়েরি (জিডি), হারানো জিডি, মামলা গ্রহণসহ থানাগুলোতে পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এসময় পুলিশ সদস্যদের মধ্যে মিষ্টি বিতরন করা হয়। এদিকে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এক সপ্তাহ পরে কাজ শুরু করেছে ট্রাফিক পুলিশ। তাদের সঙ্গে আছে শিক্ষার্থীরাও। অধিকাংশ সড়কে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের দেখা গেছে। এছাড়া কিছু কিছু পয়েন্টে এখনো শিক্ষার্থীরাই মূল ভূমিকা পালন করছে। সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে ভোলার কালিবাড়ী মোড়ে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামান এর পক্ষ থেকে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরন করে নেওয়া হয়। পরে ভোলা থানায় পুলিশ সদস্যদের আনুষ্ঠানিক ভাবে ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামান । এসময় তিনি বলেন,ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে সবাইকে দেশের জন্য নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে জনগণের কল্যাণ আশা করা যায় না।আমরা সবাই রাষ্ট্রের নাগরিক। সবার অধিকার সমান। গুজব ছড়িয়ে মানুষের মাঝে ভয়ভীতি তৈরি না করার অনুরোধ জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেন, একটি কঠিন পরিস্থিতিতে থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল। সেসব পেছনে ফেলে এখন থেকে পুলিশ সদস্যরা জনগণের বন্ধু হয়ে পাশে থেকে কাজ করবেন। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আছাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভোলা সদর সার্কেল রিপন চন্দ্র সরকার,ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান পাটোয়ারী প্রমুখ। এসময় শিক্ষার্থী পুলিশ বাহিনী জনগনের বাহিনী হিসাবে কাজ করার আহবান জানান। উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর সরকারি বিভিন্ন স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙচুর, পিকেটিং, অগ্নিসংযোগ ও হামলা চালিয়ে একাকার করে ফেলে।
শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদী বন্দর
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে  একজনের মৃত্যু
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে সকল সুবিধা দিত হাসিনা:  আলতাফ হোসেন চৌধুরী