ঢাকা শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪
দিনাজপুরে সচেতন সনাতনী নাগরিকের গণ অবস্থান ও বিক্ষোভ
  • শাহ্ আলম শাহী,দিনাজপুর:
  • ২০২৪-০৮-১০ ০৯:৫৩:২৩

দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর,অগ্নিসংযোগ,লুটপাট এবং হিন্দু মা-বোন-ভাইদের নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে দিনাজপুরে গণ অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসুচি করেছে বাংলাদেশ সচেতন সনাতনী নাগরিক।

শনিবার (১০ আগস্ট)  সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ব্যানার-ফেস্টুন-প্লেকার্ড নিয়ে দুই ঘন্টাব্যাপি  এ গণ অবস্থান কর্মসুচি'তে  সনাতনী ধর্মাবলম্বী অসংখ্য  আবাল,বৃদ্ধ,নারী-পুরুষ অংশ নেয়। এসময় বিভিন্ন দাবি নিয়ে তারা শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
 শহরের প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে প্রেসক্লাব সম্মুখে এসে বিক্ষোভ মিছিলটি সমাপ্ত হয়।

 সময় 'সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয় গঠন, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা কমিশন গঠন, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সকল প্রকার হামলা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন, সংখ্যালঘুদের জন্য ১০ শতাংশ সংসদীয় আসন বরাদ্দ  করাসহ ৪ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ, স্বস্তিতে বাঁচতে চাই” -এই শ্লোগানকে সামনে রেখে উত্তাল সনাতনী ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জনগণের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, রাজ দেবোত্তর এস্টেটের এজেন্ট রণজিৎ কুমার সিংহ, হিন্দু নেতা ডিসি রায়,বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ-দিনাজপুরের দিনাজপুরের সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার রায়,বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্ট্রান  ঐক্য পরিষদ-জেলা সাধারণ সম্পাদক রতন সিংহ সুনীল চক্রবর্তী,জাতীয় পার্টি জেলা সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শফি রুবেল, কবি জলিল আহম্মেদ, নিখিল চন্দ্র রায়, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সত্য ঘোষ, সনদ চক্রবর্তী লিটু, প্রফেসর ড. বিকাশ, তপু রায়, মিনতি দাস, মল্লিকা দাস, জয়ন্ত মিশ্র, সঞ্জিত কুমার রায়, গৌরঙ্গ রায়সহ অন্যরা।

বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ছাত্র-ছাত্রীসহ স্থানীয় সনাতনী সম্প্রদায়ের নেতাকর্মীরা কর্মসুচিতে অংশ নেয়।

বক্তারা বলেন, 'আমরা এই স্বাধীনতা দেখতে চাইনা,আমরা শান্তিতে বসবাস করতে চাই।আমরা নিরাপত্তা চাই।  আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে না পারলে আমাদের অন্যত্র পাঠিয়ে দিন। আমাদের এই জুলুম,নির্যাতন,হত্যা থেকে রেহাই দিন। আমরাও এদেশের নাগরিক। 
আমাদেরও অধিকার আছে বাঁচার। শান্তিতে বসবাস করার।এদেশ আমাদের। ১৯৭১ সালে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছি। অথচ দেশে ৫৪ বছর ধরে যে কোনো ইস্যুতে হিন্দুদের জানমালের উপর আঘাত করা হয়েছে এবং নারীদের উপর নির্যাতন-অত্যাচারসহ হিন্দুদের সম্পত্তি ও মালামাল লুট করা হয়েছে। স্বাধীন দেশে আমাদের নিরাপত্তা নেই কেন? কিছু হলেই আমাদের মন্দির এবং বিগ্রহ ভাংচুর করা হয় কেন? হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়ী-ঘরে আগুন লাগায় কারা? আমরা জানতে চাই। সে কারণেই আজ বাংলাদেশের সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায় ঘোষনা দিয়ে চার দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে আমরা রাজপথে নেমেছি। যতক্ষন পর্যন্ত সরকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করছে ততদিন পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না।'

প্রতিটি শহীদ পরিবার পাবে ৩০ লাখ টাকা: মাহফুজ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির  ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি
নীলফামারীতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবের মতবিনিময়