শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়া এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিজয় অর্জনের পর ভোলায় ভোলায় আইন -শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে ও জান মালের নিরাপত্তা দিতে বিএনপি,জামায়াতে ইসলাম ,খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন উলামায়ে কেরাম, স্কুল কলেজ, মাদরাসা ছাত্ররা সরকারি স্থাপনা, মন্দির, অন্য ধর্মের উপাসনালয়, বাড়ি ঘড়ে পাহারা বসিয়েছেন।শান্তি বজায় রাখার সার্বিক ব্যাবস্থা গ্রহন করেছেন।
জানা গেছে,সারা দেশের ন্যায় ভোলায়ও বিভিন্নস্থানে লুটপাট, ভাংচুরের ঘটনা ঘটার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ স্ব স্ব এলাকায় শান্তিপূর্ণ রাখার জন্য দলীয় কর্মীদের কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন । লালমোহন উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাবুল জানান কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক বানিজ্যমন্ত্রী মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন বীরবিক্রমের নির্দেশে উপজেলার বিভিন্নস্থানে দলের নেতা কর্মীরা সংখ্যা লঘুদের মন্দির,বাড়ি ঘড় পাহারা দিচ্ছেন। কিছু জায়গায় আওয়ামীলীগের দলীয় অফিস, পোস্টার ভাঙচুর করা হলেও কোন সংখ্যালঘুর বাড়িতে হামলা বা লুটপাট হয় নাই।
বিএনপির দলীয় কর্মীরা সে ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে।ভোলা - ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিম জানান তার এলাকায় তার দলীয় কর্মীদের করা নির্দেশ দিয়েছেন যাতে তার এলাকায় কোন রকম অপৃতিকর ঘটনা না ঘটে, কোন রকম সংহিতা না ঘটে। কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন চিঠি দিয়ে চরফ্যাশনের সকলকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানর নির্দেশ মোতাবেক সতর্ক করে এলাকায় শান্তিপূর্ণ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুল আলম জানান আমরা মাইকিং করে এবং দলীয় নেতা কর্মীদের পাহারা বসিয়েছি যাতে ভোলায় কোন রকম অপৃতিকর ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে সর্তক রয়েছি। ইসলামি আন্দোলনের জেলা উত্তরের সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান মোমতাজি ইনকিলাবকে বলেন আমরা পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর পরই আমাদের কর্মীদের বিভিন্ন মন্দিরের সামনে পাহারা বসিয়ে সুরক্ষা দিয়েছি তা চলমান থাকবে। এছাড়াও হেফাজত ইসলাম,জামাত সহ বিভিন্ন দলের কর্মীরা কয়েকটা ভাগে বিভক্ত হয়ে এ দায়িত্ব পালন করছেন।
তারা জানিয়েছেন, কোন অপশক্তি যেন সরকারি স্থাপনা হিন্দুদের মন্দির ভাঙচুর করে বিভিন্ন দেশের কুটনৈতিক দের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে খারাপ সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে দেশের সুনাম নস্ট না করতে পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।এমন কাজ করা যাবে না যাতে আন্দোলনকারীদের উপর দায় চাপিয়ে না দিতে পারে সেই জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সর্বোপরি জেলার সকল নেতাদের সতর্ক নির্দেশ।জেলার সকল দলীয় নেতৃবৃন্দকে নির্দেশ দিয়েছেন কারো পারিবারিক ঝামেলা থেকে শুরু করে, প্রতিশোধ স্বরূপ কোন আচরণ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর জুলুম করা, কারো কোন কিছুর দখল করা, হিংসামূলক আচরণ, কোন ধরনের ঝগড়ায় দলীয় প্রভাব খাটানো থেকে শুরু করে সকল ধরনের বেআইনি কাজে লিপ্ত থাকা যাবেনা। কোন ধরনের আনন্দ মিছিলও করা যাবেনা,শান্তিপূর্ণ ভাবে আনন্দ উদযাপন করুন।