আকস্মিক পেঁয়াজ আমদানিতে ভারতীয় নিষেধাজ্ঞায় ভারতে আটকা পড়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের ব্যবসায়ীদের ১৬৫ ট্রাক পেঁয়াজ যার প্রতি ট্রাক পেঁয়াজের মূল্য ১০ লাখ টাকা।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে এসব ট্রাকগুলো ভারতে আটকে থাকায় এখন পচনের মুখে পড়ছে বিপুল পরিমাণ এ পেঁয়াজ। কবে নাগাদ এসব পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করবে সঠিক দিনক্ষণও জানতে পারছে না ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া মোটা অংকের ক্ষতির মুখে পড়েছেন আমদানিকারকরা।
ভোমরা স্থল বন্দরের ব্যবসায়ীদের সংগঠন ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, গত সোমবার ভারত আকস্মিক পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে। তবে বন্ধ ঘোষণার আগেই ১৬৫ ট্রাক পেঁয়াজ ভারত থেকে এলসি করা ছিল ভোমরা বন্দরের ব্যবসায়ীদের। এসব পেঁয়াজের ট্রাকগুলোর ডকুমেন্ট পাশ করা রয়েছে।
"জেনেছি পূর্বের এলসি করা পেঁয়াজের ট্রাকগুলো তারা ছেড়ে দিবে। তবে এখন পর্যন্ত ছাড়েনি বা কোনো সুরাহা হয়নি। তাছাড়া ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি মূল্য নির্ধারণকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাপেট ৩০০ ডলারের পরিবর্তে প্রতি টন পেয়াজের রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করেছে ৭০০ ডলার।"
তিনি বলেন, প্রতি ট্রাক পেঁয়াজের মূল্য ১০ লাখ টাকা। গত সোমবার থেকে ভোমরা বন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙা সিমান্তে পেঁয়াজভর্তি ট্রাকগুলো আটকে পড়ে থাকায় পেঁয়াজ নষ্ট হতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে অর্ধেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া আগামী রোববার বা সোমবার এসব ট্রাকগুলো দেশে ঢুকলেও অর্ধেকের বেশী পেঁয়াজ আর খাওয়ার উপযুক্ত থাকবে না। এতে প্রতি ট্রাকে ব্যবসায়ীদের ৫-৬ লাখ টাকার লোকসান হবে। সব মিলিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৯ কোটি ৯০ লাখ টাকারও বেশী।
ভোমরা বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মহসিন হোসেন জানান, কত ট্রাক পেঁয়াজ ভারতে আটকা পড়েছে তার সঠিক হিসাব আমার জানা নেই। পেঁয়াজ পচনশীল দ্রব্য। পেয়াজের ট্রাক আটকা পড়ে থাকলে সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এতে আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে লোকসানের মুখে পড়বেন।