হল গুলো সিলগালা করে শিক্ষার্থীদের তাড়িয়ে দিয়েছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন। শিক্ষার্থী শূন্য ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পবিপ্রবি প্রশাসন।
২ আগস্ট ( শুক্রবার) পবিপ্রবি'র রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা দেয়া হয় যে সাম্প্রতিক সময়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পবিপ্রবির অধ্যয়নরত কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী যেন হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে পবিপ্রবি প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।
এখানে উল্লেখ্য যে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে নির্দেশনা দিতে রাগান্বিত অবস্থায় "এই মিয়া এই " সম্মোধন ব্যবহার এবং শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু বলেন, "বাংলাদেশর সরকার খুব সহজে ক্ষমতা ছাড়বে না, গদি ছারবে না, যদি আরও ৫ হাজার মানুষ মারা লাগে সরকার চিন্তা করবে না।"
এদিকে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পাওয়া মাত্র শিক্ষার্থীদের মাঝে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পবিপ্রবিয়ান গ্রুপে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো: রনি হোসাইন বলেন," যারা ক্যাম্পাসে থাকলে নিরাপত্তা দিতে পারবে না বলে হল থেকে বের করে দেয় পোলাপানরে, তারাই নাকি দিবে নিরাপত্তা হাস্যকর। "
আরেক শিক্ষার্থী মো: রেদোয়ান উল্লাহ বলেন, "সবাইকে বাসায় নিরাপত্তা দিবে? ক্যাম্পাসে যখন শিক্ষার্থী ছিল তখন কোথায় ছিল এই নোটিশ। "
শিক্ষার্থী যেন হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিতের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রক্টর আবদুল্লাহ আল হাসানের কাছে শিক্ষার্থী শূন্য ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের কি ধরনের নিরাপত্তা দিবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, " বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি যারা আছে তাদের নিরাপত্তাই কাজ করব। এছাড়াও কোন কোন সেক্টর নিয়ে কাজ করব সেটা প্রক্টর ভালো বলতে পারবে। কারো সমস্যা হলে সরাসরি না পারলেও মোবাইলের মাধ্যমে সহযোগিতা করা হবে। "
কোন কোন সেক্টর নিয়ে কাজ করবে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নাই।ফাঁকা ক্যাম্পাসে পবিপ্রবি প্রক্টরের দায়সারা বিজ্ঞপ্তি, ভাইরাল রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর কর্তৃক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।