১৫দিন আগে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ঝালকাঠির নলছিটির সেলিম তালুকদারের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গত ১৮ই জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে চলমান কোটা বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন সেলিম তালুকদার রমজান। ১৫ দিন গুলির ক্ষত নিয়ে হাসপাতালের বেডে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে লাশ নেয়া হয় বাড্ডা লিংক রোডের বাসায়। সেখানে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে শুক্রবার সকাল ১০ টায় তার বাড়ি নলছিটি পৌর এলাকার ৫নং ওয়ার্ডের মল্লিকপুরে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সেলিমের লাশ দাফন করা হয়েছে । এর আগে রাত আড়াইটার দিকে তার মরদেহ বাড়ি পৌঁছলে এলাকায় শোকাবহ পরিবেশ সৃস্টি হয়। এ সময় তাঁর নববধুসহ আত্মীয় স্বজন ও সহপাঠীরা কান্না ভেঙ্গে পড়েন।
তিন বোন, আর এক ভাইয়ের মধ্যে সেলিম তালুকদার ছিলেন মেজ। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। তিনি নলছিটি পৌর এলাকার ৫নং ওয়ার্ড মল্লিকপুরের বাসিন্দা। প্রায় বছর খানেক আগে তিনি দাম্পত্য জীবন শুরু করেছিলেন। নিহত সেলিম তালুকদার রমজান ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মল্লিকপুরের সুলতান তালুকদারের ছেলে। বিজিএমই ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে দুই বছর আগে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করে নারায়ণগঞ্জের মেট্রো নিটিং এন্ড ডায়িং মিলস লিমিটেড এর সহকারী মার্চচেন্ডাইজার পদে চাকরি করতেন।
নিহত সেলিমের পিতা সুলতান তালুকদার জানান, ঘটনার দিন সেলিম বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে কোটা বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন । এ সময় তার মাথায়, বুকে ও পিঠে গুলি লাগে। ফুসফুসেও লাগে গুলি। চার হাসপাতাল ঘুরে শেষে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।