কোনও কাজে সাফল্য পেতে আদাপানি খেয়ে কাজে লেগে পড়ার উপমা শুনেছেন অনেকবার। কিন্তু আদাপানি খেলে সত্যি কি হয় জানেন? এর গুণ রয়েছে অনেক। রান্না ও ওষুধ হিসেবে আদার শক্তিশালী একটি স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যুগ যুগ ধরে এই মশলাটি স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে এবং নির্দিষ্ট কিছু রোগের চিকিৎসার জন্য মানুষের কাছে অধিক পরিচিত। এই আদা অনেকভাবেই খাওয়া যায়।
কেন আদা-পানি খাবেন:
আদা ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ সহ প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। সেই সঙ্গে জিঞ্জেরল ও শোগাওলের মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে আদায়। এই পুষ্টি ও যৌগগুলো শরীরের জ্বালাপোড়া প্রতিরোধ, হজম ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অবদান রাখে। এ ছাড়া এটি বমি বমি ভাব কমায়, ইমিউন ফাংশনকে সমর্থন করে এবং ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। আদা পানির রয়েছে আরও অনেক গুণাগুণ, চলুন জেনে নিই।
>> আদাপানি হজমে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় বমি প্রতিরোধের কাজ করে।
>> আদার মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ঠান্ডা, ফ্লু প্রতিরোধে উপকারী। এটি হৃদরোগ প্রতিরোধে কাজ করে। রক্তের ক্ষতিকরাক কোলেস্টেরল কমায়।
>> আদাপানি শরীরের প্রদাহ কমায়। এছাড়া বিষন্নতা, প্রদাহজনিত পেটের সমস্যা কমাতেও আদাপানি উপকারী। এমনকি সোরিয়াসিস প্রতিরোধেও কাজ করে এই আদাপানি।
>> এই আদাপানি তৈরিতে লাগে এক থেকে দুই ইঞ্চি আদা, এক চা চামচ লেবুর রস, দুই থেকে তিন কাপ পানি ও কাঁচা মধু। আদা পেস্ট করে সেটিকে পানির সঙ্গে মিশিয়ে সমস্ত উপাদান পান করলে উপকার পাবেন।
>> ঐতিহ্যগতভাবে পিরিয়ডের অস্বস্তি দূর করতে আদাপানি ব্যবহৃত হয়। পিরিয়ডের ব্যথার তীব্রতা ও সময়কাল কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
কাঁচা আদার জল তৈরি করবেন যেভাবে
এক টুকরো তাজা আদার মূল নিন।
আদা খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং ছোট টুকরো টুকরো করে নিন।
২-৩ কাপ পানি ফুটিয়ে আদা কুচি দিয়ে দিন।
এটি ৫-১০ মিনিট সিদ্ধ করুন।
আদার টুকরো ছেঁকে নিন এবং এবং কিছুটা ঠাণ্ডা করে পান করুন।