ঢাকা শনিবার, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
সড়কে নেই গণপরিবহন, ভরসা রিকশা-সিএনজি
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • ২০২৪-০৭-১৮ ০২:৪৮:৫৬

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে রাজধানীর সড়কে চলছে না কোনো গণপরিবহন। জরুরি প্রয়োজনে যাত্রীদের ভরসা এখন রিকশা ও সিএনজি।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, জাতীয় প্রেসক্লাব, পল্টন, নয়া পল্টন সরজমিন ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

আজ সকাল থেকেই রাজধানীতে বিআরটিসির কিছু বাস ও মেট্রোরেল ছাড়া গণপরিবহন নেই বলা চলে। দুই একটি বেসরকারি পরিবহন চলাচল করলেও ভিড়ে সেবা পাওয়া দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে রিকশা-সিএনজির দাপট দেখা গেছে নগর জুড়ে। এই অবস্থায় যাত্রীদের থেকে বাড়তি বাড়া আদায় করছেন রিকশা ও সিএনজি চালকরা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শাহবাগ থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১০০ থেকে ১২০ টাকা রিকশা ভাড়া চাওয়া হচ্ছে। অন্যান্য দিন একই রুটে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় যাতায়াত করা গেছে। এছাড়া  মোহাম্মদপুর থেকে পল্টন রুটে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা ভাড়া হাঁকছেন সিএনজি চালকরা। অন্যান্য সময় ২৫০ টাকায় যাতায়াত করা গেছে। নগরীবাসীকে নিয়মিত সেবা দিচ্ছে বিআরটিসি ও মেট্রোরেল। তবে এসব পরিবহনে যাত্রীদের ভিড় অনেক।

অন্যদিকে শাহবাগ-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। শাহবাগ থানার সামনে পুলিশি ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। সব ধরণের যানবাহন, এমনকি রিকশা-মোটরসাইকেল চলাচলও বন্ধ রয়েছে। তবে শাহবাগ থেকে ঢাকা মেডিকেলগামী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারছেন মেডিকেল সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখিয়ে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-টিএসসি এলাকায় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির পক্ষে আন্দোলনকারীদের দেখা যায়নি। বিজিবি-পুলিশ-আনসার সদস্যরা সব জায়গায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। পল্টন-কাকরাইল এলাকায় যানবাহন তেমন চোখে পড়েনি। রিকশা-সিএনজি চলাচল বেশি দেখা গেছে।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস। সাধারণত এই দিনে, বিশেষ করে সকালের দিকে সড়কে যানজট থাকে বেশি। কিন্তু আজ সেই চেনা দৃশ্য নেই। রাজধানীর অধিকাংশ স্থানে যানবাহনের তেমন কোনো চাপ দেখা যায়নি।

 

পল্টন এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে। সেখানে পুলিশের সাঁজোয়া যান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মিরপুরের শেওড়াপাড়া থেকে ১০ নম্বরের গোলচক্কর পর্যন্ত অধিকাংশ মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহন ও লোক চলাচল খুবই কম। নগরীর মোহাম্মদপুর-পল্টন এলাকার অধিকাংশ স্থানে দোকানপাট বন্ধ দেখা গেছে।

যেখানে চলবে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
সচিবালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে, কারণ অজানা