ঝালকাঠি সদর উপজেলার ‘রূপসিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়’র বেঞ্চসহ মালামাল আত্মসাত চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দুইমাস পূর্বে পিআরএলে যাওয়া প্রধান শিক্ষক রতন লাল বসু‘র বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়ের বেঞ্চসহ মালামাল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে বিদ্যালয় থেকে এসব মালামাল নামিয়ে ভ্যানে উঠালে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়ে স্কুলে উঠিয়ে দিতে বাধ্য হন রতন লাল বসু।
ওই বিদ্যালয়ের কর্মরত সহকারী শিক্ষকরা এ আত্মসাত চেষ্টায় সহায়তা করেছেন বলেও অভিযোগ। বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়েই এসব ভারী মালামাল উঠানামা করিয়েছেন তিনি। বিষয়টি শুনেই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ক্ষুব্দ হন। রোববার দুপুর ১টার দিকে গাবখান ব্রিজের পশ্চিম ঢালের নীচে রূপসিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য বাদল হোসেন ও এলাকাবাসী জানান, রূপসিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক রতন লাল বসু পিআরএল গেছেন আরো দুইমাস আগে। তবুও তিনি বিদ্যালয়ে প্রায়ই আসেন। সুযোগ বুঝে এটা সেটা নিতেই থাকেন। রোববার দুপুর একটার দিকে বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের বসার এবং বই রাখার জন্য সরকারী ৬সেট বেঞ্চ বের করে ভ্যান গাড়িতে তোলেন। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়েই ঝুকিপুর্ণভাবে বেঞ্চগুলো উঠানামা করান তিনি। বিদ্যালয়ে দায়িত্বরত শিক্ষক মনিরা বেগম ও বাণি বিশ্বাস শ্রেণিকক্ষের পাঠদান বন্ধ রেখে তাকে সহায়তা করছিলেন। আমরা খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে এসে বেঞ্চ উঠানামা বন্ধ করি। বর্তমান আহবায়ক কমিটিকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়নি। উপজেলা শিক্ষা অফিসও এসবের কিছু জানে না। এছাড়াও বিদ্যালয়ের প্রজেক্টরটিও তিনি বাসায় নিয়ে আত্মসাত করেছেন।
সহকারী শিক্ষক বাণি বিশ্বাস সাবেক প্রধান শিক্ষক রতন লাল বসু‘র পক্ষ নিয়ে এলাকার লোকজনের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাকে মিথ্যা অপবাদ দেয়া হচ্ছে বলেও প্রতিবাদ জানান।
পিআরএলে যাওয়া সাবেক প্রধান শিক্ষক রতন লাল বসু জানান, আমার মেয়ের বিয়ের জন্য কয়েকটি বেঞ্চ নিচ্ছিলাম। অনুষ্ঠান শেষ করে আবার ফেরত দিতাম। ঔদ্ধত্যপুর্ণ আচরণ করে তিনি বলেন, আমিও ঝালকাঠির ছেলে। আমার নামে চুরির মিথ্যা অপবাদ দেয়া হচ্ছে, আমিও ছাড়বো না।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ক্লাস্টারের দায়িত্বে) হিমাদ্রি শেখর বলেন, ওই এলাকার লোকজনের কাছে মুঠোফোনের মাধ্যমে জেনে তখনই রতন বসুকে নিষেধ করেছি। যদি তার আত্মসাতের অসত কোন উদ্দেশ্য থাকে তা খতিয়ে দেখে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা সরকারী সম্পত্তি রক্ষায় খুবই আন্তরিক এবং বদ্ধপরিকর।