বড়পকুরিয়া কয়লা খনির বিরুপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসীর ক্ষতিপূরণের টাকা আদায়ের দাবিতে বড়পুকুরিয়া বাজারে আজ সোমবার সকালে জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটি’র উদ্যোগে এক বিশাল মানববন্ধন অনষ্ঠিত হয়েছে। এতে কয়লা খনির পার্শ্ববর্তী ৭ গ্রামের লোকজন অংশগ্রহন করে।
এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি মতিয়ার রহমান, সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, আব্দুল কাদের, সাইদুর রহমান,লিয়াকত আলী, গোলাম কিবরিয়া, আমিনুল ইসলাম, ফরহাদ আলী প্রমুখ। বক্তারা বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভূ-গর্ভস্থে কম্পনের ফলে ৭টি গ্রামের প্রায় ১ হাজার ৪শ বাড়ির বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এসব বসতবাড়ির ক্ষয়ক্ষতির সার্ভে করা হলেও বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ করছেনা। চুক্তি অনুযায়ী মসজিদ কবরস্থানসহ অধিগ্রহনকৃত জমির বকেয়া টাকা পরিশোধ, রাস্তাসমুহ পাঁকাকরন ও ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার লোকদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরী প্রদানসহ ৬দফা দাবী পূরণের প্রতিশ্রæতি দেয়া হলেও অদ্যাবদি একটি দাবীও বাস্তবায়ন করা হয়নি।
সংগঠনের সভাপতি বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে বলেছেন, অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্থ লোকদের দাবী মেনে নেয়া না হলে কয়লা খনি ঘেরাও কর্মসূচীসহ বড় ধরনের আন্দোলনে যাবে সংগঠনটি।
এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার এর মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমান অনুসন্ধান করতে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছিল। তদন্ত কমিটি সার্ভে করে রিপোটর্ জমা দিয়েছেন। তাতে দেখা যায়, এলাকাবাসীর দাবীকৃত ক্ষতিক্ষতির পরিমান অতিরঞ্জিত। এছাড়াও আরও কিছু বাড়িঘর ক্ষতিপূরণের তালিকায় আসেনি। বিষয়টি যাচাই বাছাই করার পর ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদানের জন্য কোম্পানী’র বোর্ড মিটিংয়ে উপস্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, এ মাসের শেষের দিকে আমরা ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদান করতে পারবো।