দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি সংস্কার ও ২০১৮ এর পরিপুত্র পূর্ণবহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করেছে। আজ সোমবার(১৫ জুলাই) হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সম্মুখ মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষোভ মিছিলে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিলে স্লোগানের স্লোগানের মুখরিত করে ওঠে এক পর্যায়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এতে করে দিনাজপুর টু দশ মাইল মহাসড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে যায়।
সাধারণ মিছিলে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা বিভিন্ন প্লেকার্ড ও ফেস্টুন ব্যানার হাতে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত উঠে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মুখ মহাসড়কটি।
এ সময় ফেস্টুন প্লে কার্ডে লেখা ছিল কোটা প্রথা নিপাত যাক মেধাবীরা মুক্তি পাক। চাইলাম অধিকার হয়ে গেলাম রাজাকার। তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার। অযৌক্তিক কোটা সংস্কার চাই। মহা সড়কের অবস্থার নিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এ সময় দিনাজপুর কোতোয়ালী ফরিদ হোসেন সহ পুলিশের সদস্যরা আন্দোলনকারী দের সাথে কথা বলে। আন্দোলনকারীদের চাপে পুলিশ করতে বাধ্য হয় এবং আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক কোটা আন্দোলনের বিষয়ে প্রশ্ন করলে কোন সত উত্তর দিতে পারেননি তিনি।
কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী শাহনাজ পারভীন মৌ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গতকালের কথায় আমরা ব্যতীত হয়েছি। আমরা অধিকার চেয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে রাজাকার বানিয়ে দিয়েছে। আজ আমরা আমাদের অধিকার মেধার যোগ্য স্থান চেয়েছি। যেখানে দেশ গড়তে মেধাবীদের বিকল্প নেই। সেখানে অযোগ্য লোকদেরকে বসিয়ে দেশের ক্ষতি করা হচ্ছে। তাই আমরা আমাদের কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাব, যতদিন পর্যন্ত আমাদের এই দাবি মেনে না নেওয়া হবে। ততদিন পর্যন্ত আমরা আন্দোলনে পিছপা হবো না।ইতিমধ্যেই আমাদের সাধারণ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্নভাবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও দুর্বৃত্তরা বিভিন্নভাবে হুমকিদানকি দিতে শুরু করেছে। আমরা আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাব যদি আমাদের কোন আন্দোলনকারী ভাই-বোনদের উপর হামলা হয়। তাহলে এই দায় দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হবে।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ হোসেন বলেন, রাস্তা ও অবরোধ করে হাবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর দের সাথে আমি কথা বলেছিলাম। আমি তাদেরকে বুঝিয়েছি আপনারা যৌক্তিক আন্দোলন করেন। তবে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি না ফেলে। যেহেতু দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন আপনারা অবরোধ তুলে নেন সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। এক পর্যায়ে বুঝানোর ফলে তারা রাস্তার অবরোধ তুলে নেয়। একপর্যায়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন সাধারণ শিক্ষার্থীর পক্ষে ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থীর সুজন রানা, কৃষি প্রকৌশলী ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী সোহাদুজ্জামান সোহাগ, ইংরেজি ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ ফাইজ, ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী মিলন, কৃষি ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী হাসানুজ্জামান মিলন বক্তব্য রাখেন।