নির্বাচনী সমাবেশে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত হওয়ার পরপরেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় তিনি ট্রাম্পের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন।
পরে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ডেলাওয়ার থেকে শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে ফিরবেন বাইডেন। স্থানীয় সময় রোববার সকালে হোয়াইট হাউজে ফিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে হালনাগাদ তথ্য জানবেন তিনি। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তদন্তের আপডেট তথ্য নেবেন বাইডেন।
এ ছাড়া পেনসিলভানিয়ার গভর্নর যশ শাপিরো ও বাটলার এবং মেয়র বব ডানডয়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন বাইডেন। তবে বাইডেনের সঙ্গে ট্রাম্পের কী কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
এদিকে ট্রাম্পের ওপর এই হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে টুইট করে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় আমি হতবাক। তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। সহিংসতা কখনো রাজনীতির অংশ হতে পারে না।
হামলার পর ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে জানান, গুলিতে আমার ডান কানের উপরের অংশ ফুটো হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ ঘটনা অবিশ্বাস্য। ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন!
শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ট্রাম্পের ওপর গুলি করা হয়। এতে ট্রাম্পের ডান কানের ওপরের অংশে ফুটো হয়ে যায়। এ সময় মঞ্চেই রক্তাক্ত অবস্থায় ট্রাম্প মুষ্টিবদ্ধ হাত ওপরে তুলে বলে ওঠেন, ‘ফাইট, ফাইট, ফাইট!’ এরপর যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার (সিক্রেট সার্ভিস) সদস্যরা ট্রাম্পকে দ্রুত একটি গাড়িতে তোলেন। ওই গাড়িতে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে দেওয়া হয়। চিকিৎসার পর ট্রাম্প এখন ভালো আছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্পকে যে রাইফেল দিয়ে গুলি করা হয়েছে তা এআর স্টাইলের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির। এটি কয়েক সেকেন্ডে ডজন ডজন গুলি ছোড়া সম্ভব।