অপেক্ষার পালা শেষে কাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) যুক্তরাজ্যে হতে যাচ্ছে পার্লামেন্ট নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে কেয়ার স্টারমারের লেবার পার্টি রেকর্ড ভাঙা জয় পেতে যাচ্ছে বলে স্বীকার করেছে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা দল কনজারভেটিভ পার্টি।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েয়েছে, এরমাধ্যমে ভোটকেন্দ্রগুলো ভোটারদের জন্য খুলে দেওয়ার আগেই পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি।
নির্বাচন বিষয়ক যেসব জরিপ চালানো হয়েছে এতে দেখা গেছে মধ্য-ডানপন্থি লেবার পার্টি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে যাচ্ছে। যারমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর চাবি যেতে যাচ্ছে কেয়ার স্টারমারের হাতে।
নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং লেবার প্রধান স্টারমার প্রচারণা চালান। শেষ দিনের প্রচারণায় তারা দেশের অর্থনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন। দুজনই দাবি করেন যদি তাদের প্রতিপক্ষ জয় পায় তাহলে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে।
লেবার পার্টির কাছে কনজারভেটিভ বড় ব্যবধানে হারবে জানিয়েছে কনজারভেটিভ মন্ত্রী মেল স্ট্রাইড সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছেন, “আমি পুরোপুরি মানি, এই মুহূর্তে নির্বাচনের অর্থ হলো, কাল হয়ত লেবারের সবচেয়ে বড় ভূমিধস জয় দেখতে পাব আমরা। এখন বড় যে বিষয়টি হলো বিরোধী দল হিসেবে আমরা কি করতে পারব।”
ঋষি সুনাককে মেল স্ট্রাইডের এমন মন্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি আইটিভিকে বলেন, “আমি প্রত্যেকটি ভোটের জন্য লড়াই করছি।”
সারভেশনের নির্বাচন বিশ্লেষণে দেখা গেছে পার্লামেন্টের ৬৫০টি আসনের মধ্যে অন্তত ৪৮৪টিতে জয় পাবে লেবার পার্টি। যা ১৯৯৭ সালে টনি ব্লেয়ারের নেতৃত্বাধীন লেবারের ৪১৮টি আসনে জয়ের চেয়েও বেশি। সেবার ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আসনে জয়ের অন্যান্য কীর্তি গড়েছিল লেবার পার্টি।
অপরদিকে কনজারভেটিভ পার্টি মাত্র ৬৪টি আসনে জয় পাবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। যদি এই ধারণা সঠিক হয় তাহলে ১৮৩৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কনজারভেটিভ পার্টি তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে কম আসনে জয় পাওয়ার লজ্জায় পড়বে।
অন্যান্য নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ও সংস্থাগুলো জানিয়েছে লেবার কম ব্যবধানেই জিতবে। তবে কেউই কনজারভেটিভরা আবারও জয় পাবে এমন কিছু বলেনি।