জামায়াতে ইসলামী বলেছে, প্রস্তাবিত বাজেট ঋণ নির্ভর। পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটে এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি পূরণে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবতা বিবর্জিত। করোনাকালে ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কাগুজে।
বৃহস্পতিবার বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এসব কথা বলেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ঋণের সুদ পরিশোধ করতেই সরকারের নাভিশ্বাস উঠে যাবে। ব্যাংক নিভর্রতা আরো বাড়বে। চলতি অর্থ বছরের ১১ মাসে সরকার ব্যাংক থেকে সরকার ইতিমধ্যে এক লাখ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। আগামী বছরে ব্যাংক থেকে ৮৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা তারল্য সঙ্কট আরো বাড়াবে। আর্থিক শৃঙ্খলা আরো ভেংগে পড়বে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনার কারণে সারা দুনিয়ার অর্থনীতি বিপর্যস্ত। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস আগামী বছরে বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি হবে ১ শতাংশ। অর্থমন্ত্রী তা গোপন করে ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধিও কাগুজে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। যা অসম্ভব। তিন লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রাকে অবাস্তব বলছে জামায়াত।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত বছরে স্বাভাবিক সময়েই লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছে রাজস্ব আয় সম্ভব হয়নি। করোনার কারণে বিপর্যস্ত অর্থীতিতে এবার তা অসম্ভব।