টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার রেশ এখনও কাটেনি বাংলাদেশের। তবে এরই মধ্যে আগুনে ঘি ঢেলেছে তাসকিনের ইস্যু। অভিযোগ উঠেছে, ঘুমের কারণে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে খেলা হয়নি তার। এদিন হোটেল রুমে ঘুমিয়ে থাকায় টিম বাস মিস করেন তিনি। এজন্য সতীর্থদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন তাসকিন।
সোমবার (১ জুলাই) ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বিসিবির ওই কর্মকর্তা জানান, ঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠতে না পারায় টিম বাস মিস করেন তাসকিন।
ক্রিকবাজকে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা সত্য যে তিনি (তাসকিন) টিম বাস মিস করে পরে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু কেন তিনি খেললেন না, তা শুধু কোচই বলতে পারবেন। তাসকিন ভারতের বিপক্ষে পরিকল্পনায় ছিলেন কি না, সেটার উত্তর একমাত্র প্রধান কোচই দিতে পারেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘যদি (কোচ ও খেলোয়াড়ের মধ্যে) কোনো সমস্যা থাকতো, তাহলে কিভাবে পরের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেললেন। তাসকিন ঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠতে না পারার জন্য সতীর্থ এবং সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এটা নিয়ে কোনো সমস্যা তৈরির দরকার নেই।’
এবারের বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। এক আসরে সর্বোচ্চ ৩ ম্যাচ জয়ের নজির এবারই গড়েছে টাইগাররা। কিন্তু টুর্নামেন্টে বাজে পারফর্মন্সের কারণে সমালোচনার মুখে পড়ে শান্ত বাহিনী।
গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হেরে যায় টাইগাররা। গ্রুপ পর্বে শেষ দুই ম্যাচে নেদারল্যান্ডস এবং নেপালকে হারিয়ে নিজেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো সুপার এইট নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
গ্রুপ পর্বে ৪ ম্যাচের সবগুলোই মন্থর উইকেটে খেলেছে বাংলাদেশ; যা অনেকটাই ঘরের উইকেটের মতো। ওই ম্যাচগুলোতে বোলাররা সফল হলেও ব্যাটারদের পারফরমেন্স ছিল খুবই হতাশাজনক।
তবে অ্যান্টিগায় ভালো উইকেট পেলেও, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ। এরপরও টুর্নামেন্টের কিছু সমীকরণে সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ তৈরি হয়েছিল তাদের। সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে দারুণ বোলিং নৈপুণ্যে আফগানিস্তানকে ১১৫ রানের বেশি করতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। সেমিফাইনালে যেতে হলে ১২ দশমিক ১ ওভারে ১১৬ রান করতে হতো টাইগারদের।
কিন্তু সেই টার্গেট স্পর্শ করার জন্য দ্রুত রান তোলার কোনো মনমানসিকতাই বাংলাদেশ দলের মধ্যে দেখা যায়নি। সেমিফাইনালে ওঠার সমীকরণের পেছনে না ছুটে ধীরলয়ে ম্যাচ জয়ের পথ বেছে নেয় তারা। এরপরও বৃষ্টি আইনে ৮ রানে হেরে যায় তারা। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট না খেলার কারণে শুধু দেশেই নয়, সারা ক্রিকেট বিশ্ব থেকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে বাংলাদেশ দল।