নরসিংদীর জামাই বলে কথা থলের বিড়াল বেড়িয়ে এসেছে
- হাজী জাহিদ, নরসিংদী
-
২০২৪-০৬-১৯ ১৩:১৪:৫২
- Print
নরসিংদীর জামাই বলে কথা থলের বিড়াল বেড়িয়ে এসেছে।
এক ছাগল কিনেই বেরিয়ে এলো মতিউর - লাকী দম্পতির থলের বেড়াল সম্প্রতি ১২ লাখ টাকায় রাজধানীর সাদেক এগ্রো থেকে একটি ছাগল কেনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাগলটি কিনেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়লা কানিজের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত। সেই সঙ্গে সে আরও ৪টি গরুও কিনেছেন ৩৭ লাখ টাকায়। সব মিলিয়ে অর্ধকোটি টাকার কোরবানি কিনেছেন ইফাত।
ইফাত গত বছরও কোরবানিতে ৬০ লাখ টাকার পশু ক্রয় করেছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন তাদের কাছে বিক্রি করা এক বিক্রেতা। এতো টাকায় কোরবানি পশু কিনলেও এর আগে আলোচনায় আসেননি তিনি। কিন্তু ১২ লাখ টাকায় রাজধানীর সাদেক এগ্রো থেকে একটি ছাগল কিনে ভাইরাল হয়েছেন।
ছাগলটি ক্রয়ের পর প্রথমে ধানমন্ডির ৮ নাম্বার সড়কের ইমপেরিয়াল সুলতানা ভবনের নিচ তলায় রাখেন। সেখানে সাক্ষাৎকারের জন্য গেলে ছাগলটিকে সরিয়ে নেয়া হয়। পাশাপাশি ইফাতের ফেইসবুক প্রোফাইল লক করে বন্ধ করে দেওয়া হয় তার ব্যবহৃত ফোন নাম্বারটি।
মতিউর রহমান একজন জাতীয় রাজস্ব কর্মকর্তা, বর্তমানে কাস্টমস আপীলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট। বেতন এক লাখ টাকার নীচে। শুধুমাত্র বসুন্ধরাতেই মতিউর, তার স্ত্রী সন্তান, আত্মীয়দের নামে এবং বেনামে ৪০ টি প্লট আছে। নরসিংদীর রায়পুরা মরজালে ৪০ বিঘা জমির উপরে গড়ে তুলেছেন আলিসান রিসোর্ট ওয়ান্ডার পার্ক। গাজীপুরে মতিউরের জুতার ফ্যাক্টরি, জুতার ফ্যক্টরিতে সে নিজেই চেয়ারম্যান। গুলশান-২ এ শাহবুদ্দিন পার্কের উল্টোদিকে আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের একটি ভবণে চারটি ফ্ল্যাট আছে। ফ্ল্যাটগুলোর মূল্য প্রতিটি ৫ কোটি টাকার নীচে নয়। গুলশানের শান্তা প্রোপার্টিজের একটি ভবনে আটটি ফ্ল্যাট। মতিউরের ছেলের বউয়ের বাচ্চা পয়দা হয়েছে আমেরিকান হাসপাতালে নিয়ে। সেখানে ডেলিভারী বাবদ তিন লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। মতিউরের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আইডেন্টিফাই করেছে গোয়েন্দারা। সেখানে ১১৭ কোটি টাকা জমা আছে বলে তথ্য দিয়েছে। সিঙ্গাপুর, মালেয়শিয়া, দুবাই ও আমেরিকায় বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক। নিজের স্ত্রী লায়লা কানিজকে বানিয়েছিলেন বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান। স্ত্রীর নামেও হাজার কোটি টাকার সম্পদ। আসন্ন রায়পুরা উপজেলা নির্বাচনেও উনি প্রার্থী।
রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকি ও তার স্বামী মতিউর রহমানের আলাদিনের চেরাগকে হার মানানো আয়ের উৎস জানতে চায় সাধারণ মানুষ।
এব্যপারে কথা বলতে লায়লা কানিজ লাকি’র ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।