দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ ময়দান পবিত্র ঈদুল আজহায় দেশের সবচেয়ে বড় জামাতের জন্য সকল প্রস্তুত সম্পন্ন করা হয়েছে। ঈদের দিন একটি মাত্র জামাত সকাল সাড়ে ৮ টায় অনুষ্ঠিত হবে।
ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৭টায় মুসল্লিদের জন্য মাঠের ১৭টি প্রবেশ পথ খুলে দেওয়া হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করেই প্রবেশ করানো হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে মুসল্লিরা শুধু জায়নামাজ ও ছাতা নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। দূর-দূরান্তের নামাজিদের জন্য দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা থাকছে। এর মধ্যে একটি পার্বতীপুর থেকে এবং অপরটি ঠাকুরগাঁও থেকে আসবে।
দিনাজপুরের গোর এ শহীদ বড় ময়দান দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ তথা এশিয়া মহাদেশের মধ্যে বড় যার আয়তন সাড়ে ২২ একক বা (৬৪ বিষা) জমির উপর এই ঈদগাহ মাঠ স্থাপিত। এই সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মিনারে সামনে ঈদুল আযহার নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। মিনারে রং করা , শতাধিক মাইক টানানো। মাঠের সংস্কার ও উচু নীচু সমান করার জন্য ঢলা মেশিন কাজ করছে । মিনারের সৌন্দর্য বৃদ্ধিও লক্ষ্যে রং তুলি দিয়ে রং করা হচ্ছে। নামাজের কাতার সোজা করার জন্য মুসল্লিদের দাঁড়ানোর জন্য লাইন চুন দিয়ে সোজা করা হয়েছে । নিরাপত্তা জোড়দার করার জন্য ওয়াজ টাওয়ার তৈরী করা হয়ে। অস্থায়ী ভাবে টয়লেট তৈরীর কাজ হচ্ছে। ওজুখানা সংস্কার করা বিভিন্ন কাজ ব্যস্ত শ্রমিকেরা।
ঈদের জামাত আদায় করার জন্য দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে নির্মাণ করা হচ্ছে বিশাল ঈদগাহ মিনার। ৫০ গম্বুজবিশিষ্ট এ বিশাল মিনারে ৫ লাখ মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন। ঈদগাহ মিনারটির প্রধান গম্বুজের (মেহেরাব) উচ্চতা ৪৭ ফুট ও লম্বায় ৫১৬ ফুট। এর মধ্যে নির্মাণ করা হবে ৩২টি আর্চ। ওই ঈদগাহ মিনারের সৌন্দর্যের জন্য প্রত্যেকটি গম্বুজে সংযোগ করা বৈদ্যুতিক বাতি।
দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদ জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। শহর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। মাঠে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, এনএসআই, ডিজিএফআই, ডিএসবিসহ সব গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা একযোগে কাজ করছেন।
জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ বলেন, ঈদের নামাজ আদায় শান্তিপূর্ণ করতে মাঠটি প্রস্তুত রয়েছে। ওজুর ব্যবস্থা, কাতারের ব্যবস্থা এবং প্রবেশ পথের কাজও ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে আনন্দ দিনাজপুর বাসীর জন্য এ বছর বাড়তি আনন্দ এশিয়া মহা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ঈদগাহ প্রস্তত হয়েছে। এখানে ১ লক্ষাধিক ৪০ হাজার মানুষ এক সাথে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারে ।