ঢাকা শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের প্রচারনা জমে উঠেছে
  • মামুনুর রশিদ, পার্বতীপুর (দিনাজপুর)
  • ২০২৪-০৫-২৪ ১১:১৮:৫৬
আসন্ন পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অংশগ্রহনকারী সকল রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও তাদের কর্মী,সমর্থকদের প্রচার প্রচারনা বেশ জমে উঠেছে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন সহ প্রতিদ্বন্দিতা করছেন মোট ৮জন প্রার্থী। চেয়ারম্যান পদে যারা প্রতিদ্বন্দিতা করছেন তারা হলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক(আনারশ), জাতীয় পার্টি’র কাজী আব্দুল গফুর (দোয়াত কলম), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হাজ্জাজুল ইসলাম (মোটর সাইকেল) ও কমিউনিস্ট পাটি’র আতিকুর রহমান আতিক (ঘোড়া) প্রতিক। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনী প্রচারনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্যানেলভূক্ত আমিরুল মোমেনিন মোমিন (তালা) ও দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী শফিকুর রায়হান নেতা (টিউবওয়েল)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট প্রচারনায় নেমেছেন দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী রুকসানা বারী রুকু (ফুটবল) ও দলীয় প্যানেলভূক্ত প্রার্থী সুলতানা নাসরিন(কলস)। আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন। গত ২০ জুলাই জেলা নির্বাচন অফিস থেকে প্রতিক পেয়ে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা তাদের কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে পৌর শহর ও ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যায়ে পথসভা, খুলি বৈঠকসহ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। এছাড়াও ব্যাপক মাইকিং, লিফলেটিং, দেয়ালে দেয়ালে পোষ্টারিং শুরু করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে যে ৪ জন প্রার্থী রয়েছেন তার মধ্যে হেভি ওয়েট প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক। তিনি এলাকায় দানশীল, পরোপকারী, উন্নয়নকামী এবং ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে পরিচিত। আচার ব্যবহারে সাধারন মানুষ তার প্রতি যথেষ্ঠ আকৃষ্ঠ। এছাড়াও এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ডে তার অবদান সর্বজন বিদিত। হাফিজুল ইসলামের শক্ত প্রতিদ্বন্দি ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম। তিনি(আমিনুল ইসলাম) স্বদলীয় চাপ ও কঠোর সিন্ধান্তের কারনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয় । চেয়ারম্যান পদে বর্তমানে যে তিনজন প্রার্থী রয়েছেন, ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যায়ে তাদের কারোই ব্যাপক কর্মী বা সমর্থক গোষ্ঠী নেই। সাধারন ভোটারদের মাঝেও তাদের উল্লেখ করার মত পরিচিতি নেই। এছাড়াও সামাজিক বা সেবামূলক কর্মকান্ডেও কোন ভূমিকা ছিলনা। বর্তমানে মাইকিং ও পোষ্টারিং ছাড়া তাদেরকে হাট বাজার বা গ্রাম পর্যায়ে কোন নির্বাচনী পথসভায় দেখা যাচ্ছেনা। নির্ভরশীল একাধিক সূত্র জানায়, ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনার মাধ্যমেই তারা তাদের প্রচারনা সীমাবদ্ধ রেখেছেন। এদিকে, বিভিন্ন পেশার সাধারন ভোটার ও সচেতন লোকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি ও জামায়াত পন্থী কর্মী, সমর্থক ও ভোটারগন ভোটদান থেকে বিরত থাকবে এমন সম্ভাবনাই বেশী। তবে ব্যক্তিগত ও আতœীয়তার কারনে একটা অংশের ভোটদানের সম্ভাবনা থাকছে। আর ওইসব ভোট আওয়ামী লীগ প্রার্থীর আনারশ প্রতিকের বাক্সেই পড়বে বলে দলীয় সুত্রে দাবী করা হয়েছে। জয়লাভের সম্ভাবনাও শতভাগ। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হাজ্জাজুল ও কমিউনিস্ট পার্টির কর্মী ও সমর্থকগন জানায়, সাধারন মানুষ পরিবর্তন চায় ও নতুনদেরকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়। তারা তাদের স্ব-স্ব অবস্থান থেকে তাদেরই জয় হবে বলে দাবী করেন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে কে নির্বাচিত হবেন তা সহজেই অনুমান করা গেলেও ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছেনা। এসব পদে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। এ উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৫২। এরমধ্যে পুরুষ- ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪০১জন ও মহিলা - ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৪৯জন ভোটার রয়েছেন। বিএনপি ও জামায়াত এর প্রার্থীরা অংশগ্রহন না করলেও ভোট কেন্দ্রসমুহে ভোটার উপস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে বলে অনেকেই মনে করছে।
শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদী বন্দর
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে  একজনের মৃত্যু
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে সকল সুবিধা দিত হাসিনা:  আলতাফ হোসেন চৌধুরী