ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক পেয়েছেন আশরাফ হোসাইন
- এ,কে,এম আসাদুজ্জামান পাইলট, ময়মনসিংহ
-
২০২৪-০৫-০৩ ০১:৪৫:২৪
- Print
ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক পেয়েছেন আশরাফ হোসাইন।
তিনি সদ্য বিদায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী।
বৃহস্পতিবার (২ মে ২০২৪) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার পক্ষ থেকে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিকের কাছ থেকে তিনি ঘোড়া প্রতীক পেয়েছেন। এসময় উপজেলার অন্যান্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদেরও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
ঘোড়া প্রতীক পেয়ে সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন বলেন, সদরবাসীর প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। তারাই আমার শক্তি। আমি সদর উপজেলাকে দেশের অন্যতম স্মার্ট ও আধুনিক উপজেলা গড়ে তুলতে বদ্ধ পরিকর। কেননা জনগণই তার নাড়ির স্পন্দন।
তিনি বলেন, পুনরায় আপনাদের ভোটে আমি বিজয়ী হতে পারি, তাহলে সদর উপজেলাবাসীর জন্য হাতে নেওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো প্রথমেই শেষ করবো ইনশাআল্লাহ। আমার লক্ষ্য থাকবে, গ্রামীন সমাজ ব্যবস্থাকে নগরের আদলে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সামিল করা। তিনি আরও বলেন, আমি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সদরের বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তা, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, সংস্কার করে গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের মাঝে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা সঠিকভাবে বিতরণ করেছি এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে ইউনিয়নের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে নিরলস কাজ করেছি।
জনগনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের সুখ-দুঃখে পাশে থাকবো; আমি বিজয়ী হতে পারি আর না পারি। ভোট আপনাদের আমানত, এটাকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করার দায়িত্ব আপনাদের। (ভোটাধিকার) কখনও দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিবেন না বলে আশা করি। এতে করে খারাপ মানুষ নির্বাচিত হয়ে যাবে। ক্ষতি হবে আপনাদের, জেনেশুনে ক্ষতির মুখে পড়বেন না। যোগ্য যদি কাউকে মনে করেন নির্দ্বিধায় তাকে ভোট প্রদান করবেন। অযোগ্য, মোনাফেক কাউকে নেতা নির্বাচিত করে পশ্চাৎপদে নিয়ে যাবেন না প্রিয় সদরটাকে। আমি আপনাদের সন্তান। আপনারই আমার চিন্তা চেতনায় বিরাজমান। আমার ব্যক্তিগত কোন চাওয়া পাওয়া নেই। আপনাদের জন্য আমৃত্যু কাজ করে যেতে চাই।
আমি চেষ্টা করেছি সন্ত্রাস মুক্ত গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন। কতটুকু পেরেছি, তার মূল্যায়নের ভার আপনাদের হাতে ছেড়ে দিলাম। আমি উপজেলা পরিষদকে কখনও ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার করিনি। এই উপজেলাকে সর্বদা চেষ্টা করেছি আপনাদের মঙ্গলের জন্য পরিচালিত করতে। আমার লক্ষ্য ছিল আপনাদের (জনগণের) সেবক হতে, মূল্যায়নের ভার ছেড়ে দিলাম আপনাদের কাছে।
আমি দৃঢ়চিত্তে পুনরায় অঙ্গীকার করছি, উপজেলা চেয়ারম্যান হবে জনগণের কল্যানের জন্য। যেমনটা বিগত দিনে করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন পারিবারিক ব্যবসার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে গত দুই যুগের বেশি সময় ধরে ময়মনসিংহের রাজনীতি ও মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে পদার্পণ করলেও কখনও ভিন্ন মতাদর্শের মানুষকেও সহায়তা করতে পিছুপা হননি। একজন জনপ্রতিনিধির এরচেয়ে বড় গুণ ভাবা যায় বলছেন সদরের অসংখ্য মানুষ। তার সময়ে সদর উপজেলায় যে পরিমাণ কাজ হয়েছে তা ঈর্ষনীয়। আশরাফ জনবান্ধব ও সফল চেয়ারম্যান।