করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা নতুন ধারার একটি মানবিক ও সংস্কারমুখী বাজেট প্রত্যাশা করেছিলাম। মনে করেছিলাম, সরকার কার্যকর একটি বাজেট দেবে। বাজেটে নতুন উদ্ভাবন থাকবে। কিন্তু তার কিছুই আমরা ঘোষিত বাজেটে পাইনি। রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করা হয়েছে তা অর্জিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বিশাল ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংকঋণের ওপর নির্ভর করেছে। ঋণ নেয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে, চলতি অর্থবছরের মতোই তা ছাড়িয়ে যাবে। ব্যাংকগুলো সরকারকে ঋণ দিতে বাধ্য হবে। ফলে বেসরকারি খাতে ঋণের খরা চলতেই থাকবে। দেশের ব্যাংকিং খাত বহুদিন ধরেই রুগ্ণ। এ রুগ্ণ ব্যাংকিং খাতে দরকার ছিল আমূল সংস্কারের। কিন্তু বাজেটে তার কোনো প্রতিফলন আমরা পাইনি। ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ফেরানোর কোনো দিকনির্দেশনার ছিটেফোঁটাও বাজেটে নেই। বিধ্বস্ত পুঁজিবাজারকে টেনে তোলার কোনো কার্যকর পদক্ষেপের কথা অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্যে খুঁজে পাইনি।