ঢাকা মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
নরসিংদী গৌড় বিষ্ণুপ্রিয়া আশ্রম কমিটির সম্পাদকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ভক্তদের
  • হাজী জাহিদ
  • ২০২৪-০৪-১৭ ০৯:১০:০৫
নরসিংদী পৌর এলাকার নরসিংদী বড়বাজার সিমের পট্টি সংলগ্ন শ্রী শ্রী গৌড় বিষ্ণুপ্রিয়া মন্দিরের ভক্তদের দান-অনুদানের লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া নিয়ম মতে প্রতি তিন বছর পরপর নতুন কমিটি হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমান কমিটি অবৈধভাবে আট বছর পদ ধরে রেখেছে। কমিটির অনিয়ম-দুর্নীতির কেউ প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও হামলা-মামলার ভয় দেখায় বিশেষ এক বাহিনী। এ বিষয়ে মন্দিরে সাধারণ ভক্তদের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সিমেন্ট পট্টি আশ্রমের একাংশের ভক্তরা বিক্ষোভ করেছেন। ওই সময় বিক্ষোভ থেকে বর্তমান কমিটিতে থাকা বাবু অনিল ঘোষ কাউন্সিলর ৪ নং ওয়ার্ড উপদেষ্টা গৌড় বিষ্ণুপ্রিয়া আশ্রম ধাম তিনি বলেন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নিয়ে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা এটা নেহাত একটি অন্যায়, আশ্রমের অর্থ আত্মসাৎ এটা ঘুরপাপ তদন্তের মাধ্যমে অর্থ আত্মসৎকারীদের আইনের মাধ্যমে বিচারের ব্যবস্থা করা হোক। এ সময় অত্র আশ্রমের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও নরসিংদী জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ বাবু অহী ভূষণ চক্রবর্তী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন আট বছর ধরে আশ্রমের সরকারি ও ভক্তদের অনুদান কোন কিছুর হিসাব আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার দিলীপ সাহা দিচ্ছেনা, তিন বছরের কমিটি আট বছর অতিবাহিত হয়েছে সে এককভাবেই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে বাকিদেরকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছে। আশ্রমের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর বাবু তারাপদ সাহা ভূষণ বলেন আমি কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক আশ্রমের অর্থ একক ভাবে খরচ করছে কোথা থেকে কত আসছে কয় টাকা কোথায় ব্যয় হচ্ছে হিসাব দিচ্ছে না, নিজের মনগড়া মত আশ্রমে একটি চাট টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে হিসাব লিখে। এ সময় সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আরো বক্তব্য রাখেন বাবু মানিক লাল সূত্রধর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গৌর বিষ্ণুপ্রিয়া আশ্রম, আশ্রমের ভক্ত বাবু শুভাষ সাহা,(বীর মুক্তিযোদ্ধা)। আশ্রমের ভক্ত বাবু প্রভাত সূত্রধর সদস্য কেন্দ্রীয় উপ কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাবু হরিপদ দাস কোষাধক্ষ্য শ্রী শ্রী গৌর বিষ্ণুপ্রিয়া আশ্রম, আশ্রমের ভক্ত বাবু স্বপন সাহা (বীরমুক্তিযোদ্ধা),আশ্রমের ভক্ত বাবু রঞ্জন সাহা, সাধারণ সম্পাদক হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নরসিংদী জেলা প্রচার সম্পাদক নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগ। উপস্থিত বিজ্ঞ থেকে ভক্তরা বলেন শ্রীশ্রী গৌর বিষ্ণুপ্রিয়া আশ্রম নামে প্রতিষ্ঠিত মন্দিরটি কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এটা ধর্মীয় উপাসনালয়। এই আশ্রমে ঠাকুরের অনুকম্পা লাভে অসংখ্য ভক্ত প্রতিদিন জড়ো হন। তারা তাদের প্রার্থনা সারেন এবং সাধ্যমতো দান-অনুদান প্রদান করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এই আশ্রমের কমিটি আট বছর চলছে; অথচ আজ অবধি কার্যকরী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একই ব্যক্তিগণ বহাল রয়েছেন। কোনো ধরনের নিয়মনীতি না মেনে তারা দীর্ঘদিন যাবৎ মন্দির পরিচালনা করে আসছেন। মন্দিরের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর এজিএমের (বার্ষিক সাধারণ সভা) মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার কথা থাকলেও অতি দুঃখের সহিত জানাচ্ছি যে, এই সাধারণ সম্পাদক ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোনো ধরনের সভা ছাড়া আজ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সাধারণ সদস্যরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে গেলে তাদের ওপর নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক উক্ত মন্দিরে তার পারিবারিক (ভাই-বোন) সদস্য দিয়ে অন্যায়ভাবে মন্দির পরিচালনা করে থাকেন। বিভিন্ন সরকারি এবং ভক্তবৃন্দের অনুদানসমূহ মন্দিরের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে না রেখে নিজেরা লুটপাট করে যাচ্ছেন। কিছুদিন আগে এই মন্দিরে যে রহস্যজন কষ্টিপাথরের মূর্তি চুরির ঘটনা ঘটেছিল সে মূর্তির পিছনে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক তার ভাই জড়িত তাদের ইশারায় করা হয়েছিল বলে ভক্তরা মনে করেন। বিক্ষোভ থেকে বলা হয়, সামান্য উন্নয়ন দেখিয়ে কমিটির অন্য সদস্যদের কোনো হিসাব-নিকাশ না দেখিয়ে তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলছেন। নিয়ম অনুযায়ী আশ্রমের উন্নয়ন কিংবা কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য আয়-ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ে সভার আয়োজন করে সকল সদস্যের মতামত নিতে হয়। কিন্তু বিগত ৮ বছরে তারা সেই নিয়ম পালন করেননি। এলাকার ভক্তবৃন্দের সব সময় দাবি ছিল, অবিলম্বে পুরাতন কমিটি বিলুপ্ত করে একটি নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠন করা এবং আশ্রমের আয়-ব্যয়ের হিসাব ভক্তদের কাছে তুলে ধরা। বিক্ষোভ থেকে তারা আরো বলেন, ধর্মীয় উপাসনালয়ে দুর্বৃত্তরা প্রভাব খাটালে শ্রী শ্রী গৌর বিষ্ণুপ্রিয়া ভক্তরা তা মেনে নেবে না। এ বিষয়ে সাধারণ ভক্তবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশাসনিক সহযোগিতা কামনা করছেন। এ বিষয়ে জানার জন্য আশ্রম কমিটির দায়িত্বরত সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার দিলীপ সাহার সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি জানান আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা আমি মন্দিরের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি , যারা আমার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছে তাদের সহযোগিতা ছাড়া বর্তমানে আশ্রমের নামে ব্যাংকে ১০ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার মত জমা রয়েছে।
পুলিশের অসাদাচরনের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
 শিশু রুকাইয়া রহমান আনহাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন
নীলফামারীর চিলাহাটিতে পেকিন হাঁস  পালন বিষয়ক খামার দিবস অনুষ্ঠিত