আমানতকারীদের সুরক্ষায় একটি ব্যাংক আমানতের বিপরীতে কী পরিমাণ ঋণ দিতে পারবে তা নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সে অনুযায়ী, প্রচলিত ধারার ব্যাংকে ১০০ টাকা আমানতের বিপরীতে ঋণ বিতরণ করতে পারবে সর্বোচ্চ ৮৭ টাকা এবং ইসলামী ব্যাংকগুলো দিতে পারবে ৯২ টাকা। বাকী টাকা বিধিবদ্ধ জমা হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে সংরক্ষণ করতে হয়
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, বাধ্যতমূলক জমা না রেখেই বেপরোয়া ঋণ বিতরণ করেছে সরকারি-বেসরকারি ১১ বাণিজ্যিক ব্যাংক। এমনকি এদের অনেকেই নতুন আমানতের তুলনায় দ্বিগুণ হারে ঋণ বিতরণ করেছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি ব্যাংকের মধ্যে বেসিক ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং উইং রয়েছে ঋণ-আমানত সীমা লঙ্ঘনের তালিকায়।
এ তালিকায় বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে এবি ব্যাংক, এক্সিম ন্যাশনাল, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, পদ্মা, এনআরবি গ্লোবাল, ইউনিয়ন এবং প্রিমিয়ার ব্যাংক।
বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনার এই সময়ে ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে পারছে না। কিন্তু তারপরও কী করে এত ঋণ গেল আর তা কোথায় গেল তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
মহামারির এ সময় যেন অনুৎপাদনশীল খাতে যেন অতিরিক্ত ঋণ না যায় সেই বিষয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারি বাড়ানো উচিত বলে পরামর্শ দেন তিনি।