ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) নিহত বাংলাদেশি যুবক লিটন পারভেজের মরদেহ অবশেষে রাতের আঁধারে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
বুধবার রাত ১১টার পরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের জাওরানী সীমান্তে এই মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়। এ সময় সীমান্তে উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ওই দিন বিকেলে জেলার আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর সীমান্তে নিহত যুবকের মরদেহ ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। উভয় দেশের সীমান্তে প্রস্তুতিও চলছিল। হঠাৎ বিএসএফ পিছিয়ে যায়। এরপর রাতে মরদেহ হস্তান্তরের পর দূর্গাপুর গ্রামে লিটন মিয়াকে দাফন করা হয়।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও স্থানীয়রা জানান, ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানা কৈমারী বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা গুলি ছুঁড়লে লিটন মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে আটক করে শারীরিক নির্যাতন করেন বিএসএফ সদস্যরা।
গুরুতর আহত অবস্থায় লিটনকে কোচবিহার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাত ১০টায় তিনি সেখানে মারা যান। নিহত লিটন মিয়া
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী গ্রামের মোকছেদুল ইসলামের ছেলে। দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান নান্নু বলেন, দূর্গাপুর সীমান্তের পরিবর্তে জাওরানী সীমান্ত দিয়ে মরদেহ ফেরত দেওয়ায় মরদেহটি বাড়িতে আনতে খুব কষ্ট করতে হয়েছে। বুধবার বিকালে দূর্গাপুর সীমান্তে মরদেহ হস্তান্তর সময় উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে এ আশঙ্কায় বিএসএফ অন্য সীমান্ত দিয়ে রাতের আঁধারে মরদেহ ফেরত দেয়।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ বলেন, সীমান্তে বিএসএফ্গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সীমান্ত এলাকার লোকজন যাতে অবৈধভাবে ভারতে না যান সেজন্যও তাদেরকে আইনিভাবে সচেতন করা হচ্ছে।