অবৈধ ফোনের দখলে দেশের বাজার: বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
- নিজস্ব প্রতিবেদক:
-
২০২৪-০৩-২৭ ১০:৩৬:২৫
- Print
দেশে ২০১৮ সালের পর থেকে ১৭টি মোবাইল ফোন উৎপাদন কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। চাহিদার ৯৯ শতাংশ মোবাইল ফোনই দেশীয়ভাবে উৎপাদন সম্ভব। কিন্তু স্থানীয় বাজারে ৩৫-৪০ শতাংশই অবৈধভাবে আসা বিদেশি ফোনের দখলে। তাই দেশীয় মোবাইল ফোন উৎপাদন শিল্পকে রক্ষায় অবিলম্বে অবৈধ ফোনের বিক্রয় বন্ধ করতে হবে।
বুধবার ( ২৭ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইওবি)।
এমআইওবি এর সভাপতি জাকারিয়া শাহিদ বলেন, ‘দেশের স্বার্থে গ্রে মার্কেট হিসেবে পরিচিত অবৈধ মোবাইল ফোনের বেচাকেনাকে বন্ধ করতে হবে। বর্তমানের দেশের মোট মোবাইল ফোন বাজারের ৩৫-৪০ শতাংশই এই গ্রে মার্কেট। এই গ্রে মার্কেটে ভ্যাট ট্যাক্সহীন ভাবে মোবাইল ফোন বিক্রি হওয়ায় যেমন হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হুমকির মুখে, তেমনি সরকারও বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম অনুষঙ্গ হলো মোবাইল ফোন। এখন এই মোবাইল ফোনের বাজার যদি অনিয়ন্ত্রিত থাকে তবে এখানে আইনশৃঙ্খলাজনিত নানা ধরনের সমস্যা থেকে শুরু করে জাতীয় রাজস্ব আদায়ও ব্যাহত হয়।’
দেশের মোবাইল ফোনের বাজারে এই অবৈধ মোবাইল ফোনের দৌরাত্ম্য বন্ধে, অবিলম্বে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টারের কার্যক্রম অবিলম্বে পুরোদমে চালুর দাবি জানান এমআইওবি সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘অন্যথায় দেশে শুল্ক ও কর ফাঁকি দেয়া মোবাইল ফোন বেচাকেনার পরিমাণ দেশের মোট মোবাইল ফোনের বাজারের অধিকাংশকেই দখল করে ফেলার আশঙ্কা রয়েছে। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি মোবাইল ফোন উৎপাদন খাতে হওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়বে পাশাপাশি অনিশ্চিত হয়ে পড়বে এই খাতে নিয়োজিত লাখ লাখ মানুষের জীবিকা।’
এমআইওবির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দেশের চাহিদার ৯৯ শতাংশই উৎপাদনের সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও মোবাইল ফোনের বাজারের বিশাল অংশ আজ অবৈধভাবে আমদানি করা ফোনের দখলে। এসব ফোনের মধ্যে অনেকগুলো আবার নকল ফোন। যে কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ভোক্তারা। এসব ফোনের অনেকগুলোতেই আবার নকল আইএমই ব্যবহার করা হয়। যা অপরাধীরা ব্যবহার করায় এসব মোবাইল ফোন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।’