ঢাকা শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
দিনাজপুরে চালের বাজার ফের অস্থির কেজিতে বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা
  • শাহ্‌ আলম শাহী, দিনাজপুর:
  • ২০২৪-০৩-২৪ ১৩:০৬:৩৩
দেশের খাদ্য ভান্ডার বলে খ্যাত দিনাজপুরে ফের চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩'টাকা থেকে ৫ টাকা। গত এক সপ্তাহ আগে মিনিকেট চাল ৬৫/৬৬ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬৮/৭০ টাকায়। ৪৫ টাকা কেজি দরের গুটি স্বর্ণা চাল বর্তমানে বেডে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ২৮ চাল এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫৪ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা,ল।২৯ চাল গত সপ্তাহে ছিল ৫২ টাকা, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকায়। দিনাজপুরের সবচেয়ে বড় চালের বাজার বাহাদুর বাজার এন এ মার্কেটে চালের বাজারে কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা। ২৫ কেজির বস্তাতে দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১২৫ টাকা। ৫০ কেজির বস্তাতে দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। পাইকারি চাল ব্যবসায়ী এরশাদ আলী জানান, 'মিল গেট থেকে বেশি দাম চাল কিনতে হচ্ছে তাদের। মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে এই চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করছে।' পাইকারি ব্যবসায়ীআশরাফ আলী জানান, দিনাজপুরে চালের দাম একবার বাড়লে আর কখনোই কমেনা। হটাৎ বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে।তাই,বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে। আমাদের করার কিছু নেই।' পাইকারি ব্যবসায়ী মোর্শেদ জানান, হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় তার দোকানে চালের বিক্রি অনেক কমে গেছে। আরেক চাল বিক্রেতা রঞ্জিত কুন্ডু জানান, সুগন্ধি জাতের চাল ব্যতীত সব ধরনের চালের দাম মিল গেইটেই বেশি। বাজারে ধানের সংকটের কারণে সব মিল চাহিদা মতো চালও দিতে পারছে না। দাম বাড়লেও বাজারে চালের ক্রেতা কম বলে জানান এই চাল বিক্রেতা। বাজার মনিটরিং না থাকায় চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। চাল কিনতে আসা,মোজাম্মেল জানালেন,'ভাই -৫ দিন আগে যে চাল কিনেছি ৬৫ টাকা কেজি,তা আজ কিনলাম ৭০:টাকা দরে।মানুষের বাঁচার দরকার নেই। না খেয়ে মরাই ভালো।' বিশেষ করে হঠাৎ চালের দাম বৃদ্ধিতে বেশি বিপাকে পড়েছেন, শ্রমিক দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ চাল কিনতে আসা ইউসুফ আলী জানালেন, সারাদিন অটো চালিয়ে যা আয় রোজগার হয়,তা চাল আর সামান্য তরিতরকারি কিনতেই চলে যায়। ভালো কিছু মুখে জুটেনা। রমজান মাসে আবার বেড়ে গেল চালের দাম। আমাদের আর কি করণীয় আছে।বেঁচে থাকাটাই এখন যেন কষ্টের।' এ বিষয়ে দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও আছিয়া অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী শামিম বলেন, দিনাজপুরের হাটবাজারে ধানের সরবরাহ নেই। মিল মালিকরা ধান কিনতে পারছেন না। সামনে ইরি ধান উঠলে চালের দাম কিছুটা কমবে। ধান না উঠা পর্যন্ত চালের দাম কমার কোন সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশ হাসকিং মিল মালিক সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি সহিদুল রহমান পাটোয়ারী মোহন জানান বলছেন, ধানের সংকট এবং বেশি দামে তাদের ধান কিনতে হচ্ছে। ধানের অভাবে অনেক মিলে উৎপাদনও বন্ধ হয়ে গেছে। ধানের বাজার কম হলে চালের দামও কমবে। 'চালের দাম নির্ভর করে ধানের দামের উপর।' দিনাজপুর জেলায় যে পরিমাণ ধান উৎপাদন হয়। তা জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে সরবরাহ হয়ে থাকে। বেশ কিছুদিন চালের বাজার স্থিতিশীল থাকার পর ফের চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা গেলে চালের দাম কিছুটা কমতে পারে এমন অভিমত করেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। জেলার যে সমস্ত মিল মালিক ও মজুদার রয়েছেন। তাদের গুদামে অভিযান চালালে বাজারে স্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমনটাই মন্তব্য ভোক্তাদের।
শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদী বন্দর
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে  একজনের মৃত্যু
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে সকল সুবিধা দিত হাসিনা:  আলতাফ হোসেন চৌধুরী