সুইসাইড নোট পোস্ট দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আত্মহত্যার ঘটনায় সহকারী অধ্যাপক বরখাস্ত
- রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা:
-
২০২৪-০৩-১৬ ১২:৩২:১৬
- Print
কুমিল্লায় জাবি শিক্ষার্থী অবন্তিকা নিজের আইডিতে শিক্ষক ও সহপাঠীকে অভিযুক্ত করে সুইসাইড নোট পোস্ট দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরোজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার ও সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ ঘটনায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম সাক্ষরিত পৃথক চারটি অফিস আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫ এর ধারা ১১(১০) মোতাবেক আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দিকি আম্মানকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।
একই আইনে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত ও সহকারী প্রক্টর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, সদস্য হিসেবে আছেন সামাজিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.আবুল হোসেন, কলা অনুষদের ডিন ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ, সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ কে রাখা হয়েছে। এছাড়া আইন শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার অ্যাডভোকেট রঞ্জন কুমার দাশ কে সদস্য সচিব রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত দশটার দিকে কুমিল্লার বাগিচাগাঁও ফায়ার সার্ভিস পুকুরপাড়ের নিজ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন ফাইরোজ সাদাফ অবন্তিকা।
আত্মহত্যার আগে অবন্তিকা ফেসবুকে পোস্ট করা সুইসাইড নোটে তার মৃত্যুর জন্য সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেন। আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে তিনি হয়রানি এবং হুমকি দেওয়াসহ নানা অভিযোগ তুলেন। সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে অফিসে ডেকে নিয়ে হয়রানি ও মানহানির অভিযোগ তুলেন। তা ছাড়া ‘সেক্সুয়ালি অ্যাবিউজিভ কমেন্ট’ করার অভিযোগ তুলেছেন ওই সুইসাইড নোটে।