ইটালীর বদলে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে কাউসার আর তার স্ত্রী-সন্তান
- মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
-
২০২৪-০৩-০১ ১০:২৬:০৯
- Print
আর ৮ দিন পরই পরিবারের সবাইকে নিয়ে ইটালী ফিরে যাওয়ার কথা ছিলো সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসারের। কিন্তু নিয়তি অন্যরকম। পারিবারিক কবরস্থানে ঠাই হলো তাদের। শুক্রবার বিকেলে ঢাকার কাচ্চি ভাইয়ের আগুনে মারা যাওয়া কাউসার, তার স্ত্রী স্বপ্না (৩৫), মেয়ে সৈয়দ কাশফিয়া (১৭)ও সৈয়দা নূর (১৩) ও ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহর (৭) মরদেহ দাফন করা হয়। এরআগে বাদ আছর নামাজে জানাযা হয় বাড়ি সংলগ্ন মসজিদের পাশের মাঠে। পারিবারিক কবরস্থানে এক সারিতে দাফন করা হয় তাদের ৫ জনকে। বিকেল ৩ টায় ৪ টি ফ্রিজিং গাড়িতে করে তাদের ৫ জনের মরদেহ বাড়িতে পৌছে। মরদেহ বাড়িতে পৌছার পর স্বজনরা ছাড়াও গ্রামের শতশত মানুষ ভীড় জমান।
কাউসারের চাচাতো ভাই সৈয়দ আবুল ফারাহ তুহিন জানান, আজ শুক্রবার বাড়িতে এসে সোমবার পর্যন্ত এখানে থাকার কথা ছিলো। রবিবার সন্তানদের জাতীয় পরিচয়পত্রের বিষয়ে উপজেলায় যাওয়ার কথা ছিলো তার। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কাউসার ও তার পরিবারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হন স্বজনরা। এ খবর বিশ্বাস হতে চাইছিলোনা কারোর। সকালে পারিবারিক গোরস্থানে পাশাপাশি ৫ টি কবর খুড়ার কাজ শুরু হয়। নেয়া হতে থাকে জানাযার প্রস্তুতি।
১৫ বছর ধরে ইটালী প্রবাসে রয়েছেন তার ছেলে । ৪ বছর পর দেশে আসেন মাস খানেক আগে। ১০ই মার্চ আবার ইটালী ফিরে যাওয়ার কথা ছিলো কাউসারের। এবার স্ত্রী-সন্তানদেরও সাথে করে নিয়ে যেতেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরের কাউসার,স্ত্রী-সন্তানসহ মারা গেছেন সেখানে।
মা হেলেনা বেগম বলেন-'৪বছর ধরে পুত আইয়েনা,কতো ফোন দিছি পুতরে আইতো। পুততো আইছে শেষ বিদায় লইয়া। বাজার-সাজার কইরা সাজাইয়া থুইছি,পুত আইতাছে।
কাউসারের পরিবার রাজধানীর মধুবাগ এলাকায় নিজস্ব ফ্ল্যাটেই বসবাস করতেন। তবে এবার সবাইকে ইটালী নিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। ১০ ই মার্চ চলে যেতেন তারা ইটালী। পরিবারের সদস্যরা জানান,
এরআগে গত সপ্তাহে বাড়িতে এসেছিলেন একবার কাউসার। শুক্রবার এসে একেবারে বাড়ি থেকে বিদেয় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। ৩ ভাইয়ের মধ্যে কাউসার ছিলেন মেঝ। তার বড় সৈয়দ সোহেবও ইটালি থাকেন। আরেক ভাই সৈয়দ আল আমিন দেশে ব্যাংকে চাকুরী করেন। তার পিতা মৃত আবুল কাশেম।