শ্রীমতি কামবালাকে উপহার দিলেন নৌ- প্রতিমন্ত্রী
- দিনাজপুর প্রতিনিধি:
-
২০২৪-০১-২৮ ২০:৪৮:০৩
- Print
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রচারণায় অংশ নেওয়া সেই ৯২ বছর বয়সী শ্রীমতি কামবালাকে ভোটের পরে তার কাছে এসে উপহার দিয়ে গেলেন নৌ- প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি।
নিজের উঠানে প্রতিমন্ত্রীকে দেখতে পেয়ে কামবালা অবাক হয়ে বললেন "মুই খুব খুশি হইচো বাপ, মোর বেটা মুোক দেখিবার আইচ্চে।"
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর -২ (বিরল-বোঁচাগঞ্জ) আসনের বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের কালিয়াগঞ্জ বাজারে নির্বাচনি পথ সভায় শ্রীমতি কামবালা শতশত মানুষের বাধা উপেক্ষা করে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।
সেই সময় ১০টাকার একটি নোট উপহার দিয়ে, কামবালা প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে বঙ্গবন্ধুর নৌকায় ভোট দিতে অনুরোধ করেন এবং এই টাকা নির্বাচনে ব্যায় করার কথা জানান। এর বাইরে অন্যদের কাছেও নৌকার পক্ষে ভোট চান তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের পর দ্বিতীয়বার হয়েছেন নৌপ্রতিমন্ত্রী হন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আজ রবিবার ( ২৮ জানুয়ারি) সকালে নির্বাচন পরবর্তি সময়ে প্রথমবারের মত দিনাজপুরে এসে ছুটে যান সেই শ্রীমতি কামবালার গ্রামের বাড়ি গোদাবাড়ীতে।
কামবালার ছনের ঘরের সামনে গিয়ে নৌপ্রতিমন্ত্রী স্বাক্ষাত পেলে আবেগ ধরে রাখতে না পেরে কেঁদে দেন ৯২ বছর বয়সী কামবালা।
এ সময় কামবালার ছনের ঘরের সামনেই তাকে একটি শাল, শাড়ি, শীতের পোশাক সোয়েটার ও কামবালার বাধাই করা দুটি ছবি উপহার দেন প্রতিমন্ত্রী।
এ ছাড়া কামবালার ছেলের বউকেও উপহার দেন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এ সময় কামবালা প্রতিমন্ত্রীকে বলেন, "বেটা তুই মোর বাড়িত আইচ্চি, মুই খুব খুশি হইচু, মোর ঘড়ত বসিবার জায়গা নাই, আগিনাত বস। মোড়তায় এত কিছু আনিবার কি দরকার ছিলো।"
উত্তরে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, "আমি তো ছেলের মতই, তাই দেখিবা আইচ্চু।"
পরে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, "আমি নির্বাচনের আগে এই এলাকায় একটি পথসভায় যখন আসলাম, তখন হাজার হাজার মানুষের ভীড় উপেক্ষা করে এই নব্বই উর্ধ কামবালা আমার কাছে পৌছান, তখন তিনি একটি দশটাকা নোট উপহার দিয়ে আমাকে বলে নৌকায় ভোট দিতে এবং এই দশটাকা নির্বাচনের খরচ হিসেবে কাজে লাগাতে।
"আমি ছোট সময় থেকে নির্বাচনে কাজ করেছি প্রচার প্রচারণা করেছি, নিজের নির্বাচনে কাজ করেছ, কিন্তু একজন ভোটার আমার কাছে (নৌকার প্রার্থীর কাছে) ভোট চেয়েছে এই অভিজ্ঞতা প্রথম। নব্বই উর্ধ একজন মহিলা নৌকার প্রার্থীর কাছে নৌকার ভোট চাইছেন, যে দাবিটা করেছেন এবং নির্বাচনি খরচ দিয়েছেন। সত্তিই আমি মুগ্ধ। আমি যখন নির্বাচিত হয়েছি তখনই ঠিক করেছিলাম, শ্রীমতি কামবালার বাড়িতে যাবো। আজকে আসলাম, আসার পরে উনার ব্যবহারে আমি আরও মুগ্ধ।"
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, "তিনি হচ্ছেন এই নির্বাচনে সবচেয়ে পবিত্র এবং দামি ভোটার। এই রকম একজন মানুষ যখন একজন প্রার্থীকে আর্শিবাদ দেয়, তখন সৃষ্টিকর্তা তার দিকে চোখ তুলে তাকায়।
"মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা মানুষের জন্য যে কাজ করছেন এটা নব্বই উর্ধ একজন মানুষের মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধৃ যে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছেন এর স্বাক্ষি হয়ে আছেন কামবালা। সেই যে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসেছে, নৌকাকে ভালোবেসেছেন, আজকে নব্বই বছরেও বার্ধক্য উনাকে হার মানাতে পারে নি, বার্ধক্য উপেক্ষা করে নৌকা মার্কার প্রচারণা সভায় অংশ নিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য একটা শিক্ষা।"
সত্য এবং সুন্দরের জন্য কোন কিছু আটকায় না, এটা কামবালা প্রমান করেছেন, আমি তাকে শ্রদ্ধা জানাতে এখানে এসেছি। এই মাতা আরো দীর্ঘজীবী হোক,এই কামনা করি।"