কুড়িগ্রামে শৈত্য প্রবাহে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
- এম এস সাগর, কুড়িগ্রাম:
-
২০২৪-০১-২২ ০৯:৫০:৪১
- Print
ঘন কুয়াশা আর শৈত্য প্রবাহে কুড়িগ্রামে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা ১ হাজার ৮৪৮টি প্রতিষ্ঠান গত রবিবার (২১ জানুয়ারি) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩ দিন তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও আজ সোমবার (২২ জানুয়ারি) তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ঘন কুয়াশা আর শৈত্য প্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত এ নির্দেশ অব্যাহত থাকবে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ওপরে উঠলে পরবর্তী নতুন নির্দেশনা দেয়া হবে।
দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নিচে নামলে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সরকারি এ নির্দেশনা অনুযায়ী জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নোটিশ জারি করা হয়।
জানা গেছে, জেলার ১ হাজার ২৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৮৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২২২টি মাদরাসাসহ মোট ১ হাজার ৮৪৮টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, এমন তাপমাত্রা আরও দুই একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
অপরদিকে কুড়িগ্রামে গত ১২ দিনেও সারাদিনেও দেখা মেলেনি সূর্যের আলো। কনকনে ঠান্ডার তীব্রতা ও হিমেল হাওয়ায় এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার কারণে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল সহ নাগেশ্বরী ৫০ শয্যা হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। ঠান্ডার প্রক্ষরে শিশুরা ডায়রিয়া নিউমোনিয়া শরদী কাশী ও স্বাসকষ্ট সহ শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে আসছে হাসপাতালে। ডায়রিয়া ও স্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছে বৃদ্ধরাও।
হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী ও স্বজনরা। হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জন-জীবন। দিনের বেশি ভাগ সময় সূর্যের দেখা না পাওয়ায় ঘর থেকে বেড় হতে পারছে না মানুষ। ব্যহত হচ্ছে যানবাহন চলাচল। কেউ কেউ খরকুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। শীতে বেশি বিপাকে আছেন ছিন্নমূল ও নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। কুয়াশা আর ঠান্ডা উপেক্ষা করে পরিবারের অন্ন জোটাতে কাজ করছেন।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, শীতার্থ মানুষদের কষ্ট লাঘবে সরকারের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ চলছে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন শীতার্থ মানুষদের সহযোগিতায় কাজ করছে।