মাধবদী রাইনাদীতে নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতা গোলাগুলিও ভাংচুরের অভিযোগ
- হাজী জাহিদ, নরসিংদী
-
২০২৪-০১-১৩ ২০:৪১:৩৮
- Print
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নুরালাপুর ইউনিয়নের রাইনাদী গ্রামের আব্দুল বাতেন মিয়ার বাড়িতে চিহ্নিত ভূমি দস্যু এলাকার প্রভাবশালী শিল্পপতির হুকুমে মামুন, জিয়াউল পিস্তল রামদা বন্দুক সহ প্রায় ৩ শতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বাতেন মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায় । পিস্তল দিয়ে একাধিক গুলি বর্ষণ করেন যাহা সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় । গেট ভাংচুর করে ভিতরে প্রবেশ করে নারী শিশুদেরকে জিম্মি করে ব্যাপক মারধর করার অভিযোগ করেছেন বাতেন মিয়ার পরিবার।
৯৯৯ ফোন করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ভূমিদস্যরা পালিয়ে যায় । বাতেন মিয়ার ছেলে খোশেদ আলম বাবুল জানান আমরা আওয়ামী লীগ পরিবার এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক আমরা নৌকা মার্কার নির্বাচন করি এবং আমাদের কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে নৌকা বিজয়ী হয় অপরদিকে শিল্পপতি মিনহাজুর রহমান ঈগল মার্কার নির্বাচন করেন পরাজয়ের খবর ছড়িয়ে পড়লে তার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মামুন, জিয়াউল হক এর নেতৃত্বে প্রায় ৩/৪ শত সন্ত্রাসী পিস্তল , বন্দুক,রামদা, ছুড়া নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায় সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে নারী ও শিশুদেরকে মারধর করে আমাদেরকে না পেয়ে নারী শিশুদেরকে ব্যাপক নির্যাতন করে ঘটনার খবর জানতে পেরে আমি ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ এসে আমার পরিবারকে রক্ষা করে। আমি তাদের বিচার চাই।
বাতেন মিয়া জানান আমি মাধবদী পৌরসভা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলাম , আমার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগ নৌকা বিজয়ী হলে এটা মানতে পারেনি শিল্পপতি মিনহাজ রহমান। আমার সাথে তার দীর্ঘ দিন যাবত জমি সংক্রান্ত মামলা চলছে। এই সুযোগে নির্বাচনকে পুঁজি করে আমার বাড়িতে হামলা চালায় এবং ব্যাপক ভাংচুর করে এবং অবৈধ বন্দুক দিয়ে ২০/২৫ টি ফায়ার করে এবং আমার নাতি, ছেলের বউ মেয়েদের কে ব্যাপক মারধর করে । রাজুর সাথে আমার জমি সংক্রান্ত মামলা আছে । রাইনাদী নোয়াপাড়া টাটা পাড়ার মানুষ শিল্পপতি রাজুর অত্যাচারের অধিষ্ঠিত । আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ,নরসিংদী সদরের এমপি ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার চাই । আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমি আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই । এ ব্যাপারে মিনহাজুর রহমানের কাছে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি মামুন ও জিয়াউল কে ও পাওয়া যায়নি । স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি জানান তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে নির্বাচনের দিন ঘটনাটি দুঃখজনক।