ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে র্যাগ ডে উৎসবকে ‘অমানবিক ও নীতিবহির্ভূত’ আখ্যা দিয়ে ক্যাম্পাসে তা নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের কথা বুধবার জানিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে, এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, র্যাগ ডে উদযাপন নিষিদ্ধ নয় বরং র্যাগ ডের নামে ক্যাম্পাসে বা আবাসিক হলে অনাকাঙ্খিত, অমানবিক, অসৌজন্যমূলক, শৃঙ্খলা-পরিপন্থী কোন আচরণ যাতে সংঘটিত না হয়- এর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক নজর রাখার জন্য বলা হয়েছে বলে একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অসাবধানতাবশত ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে জানিয়ে দুঃখ প্রকাশও করা হয়েছে।
সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ‘র্যাগ-ডে নিষিদ্ধ’ সংক্রান্ত তথ্যটি অসাবধানতাবশত ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এজন্য দুঃখিত।
এতে বলা হয়, মূলত একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত ছিল, র্যাগ ডে উদযাপন নামে ক্যাম্পাসে বা আবাসিক হলে অনাকাঙ্খিত, অমানবিক, অসৌজন্যমূলক, শৃঙ্খলা-পরিপন্থী কোন আচরণ যাতে সংঘটিত না হয়, এর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক নজর রাখার জন্য বলা হয়।
এ বিষয়ে একটি কমিটিও গঠন করে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষা সমাপনী, গ্র্যাজুয়েশন উৎসব উদযাপনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠান, উৎসব, বর্ণাঢ্য র্যালি ইত্যাদি আয়োজনের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করবে কমিটি। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরকে (প্রশাসন) আহ্বায়ক এবং প্রক্টরকে সদস্য-সচিব করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- কলা অনুষদের ডিন, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং বাণিজ্য অনুষদের ডিন।
এর আগে, গত বুধবার র্যাগ ডেকে ‘অমানবিক, নিষ্ঠুর ও নীতিবহির্ভূত উৎসব' বলে উল্লেখ করে এই আয়োজনকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করে জনসংযোগ দপ্তর থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা শুরু হয়।